ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

অসহায় মানুষের সুহৃদ এলিজাবেথ

বিদেশিনীর চোখে জল, সেবার ব্রত নিয়ে বার বার বাংলাদেশে

প্রকাশিত: ১১:০৭, ২৪ মার্চ ২০১৯

বিদেশিনীর চোখে জল, সেবার ব্রত নিয়ে বার বার বাংলাদেশে

মোরসালিন মিজান ॥ একজন বিদেশিনী, কী আশ্চর্য, বাংলাদেশের মানুষের কথা ভেবে কাঁদছেন! যখন তখন চোখের কোণে জল। দেখে অবাক না হয়ে পারা যায় না। মানবিক এই মানুষটির নাম এলিজাবেথ মেক্লিলান। সাত সমুদ্র তেরো নদী দূরত্বের দেশ আমেরিকায় বাস করেন। সেখানে বিশাল বাড়ি। বাড়ির দরজায় তালা ঝুলিয়ে চলে আসেন বাংলাদেশে। এ দেশের মানুষ কত রকমের ব্যথা, বেদনা, অপ্রাপ্তি নিয়ে বেঁচে থাকে! আমরা দেখে অভ্যস্থ। পেছনে রেখে দিব্যি হেঁটে চলে যাই। অন্য দেশের মানুষটি তা পারেন না। পেশায় তিনি একজন নার্স। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শব্দটি অর্ডিনারি মনে হতে পারে। কিন্তু মার্কিন নাগরিকের নিবেদন, আত্মোপলব্ধি, মানব সেবার ব্রত নতুন করে ভাবতে শেখায়। জানা যায়, এলিজাবেথ যুক্তরাষ্ট্রে রেজিস্টার্ড নার্স হিসেবে দীর্ঘকাল সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। এখন বয়স হয়েছে। কিন্তু দেখে সেটি বোঝার উপায় নেই। পোশাকে, চালচলনে কী যে স্মার্ট! তারও বেশি মনের সৌন্দর্য। কাজ করার শক্তি ও মানসিকতা এতটাই ধরে রেখেছেন যে, তরুণ-তরুণীরাও কৌতূহলী চোখে তার দিকে তাকান। নিয়ম মেনে অবসর নিলেও, অবসর ঘৃণা করেন তিনি। উদ্যমী এলিজাবেথ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ঘুরে মানুষের সেবা করেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মেডিক্যাল মিশন নিয়ে যান। আলাদা ভালবাসা তোলা থাকে বাংলাদেশের জন্য। এ দেশে বারবার আসেন। পৌঁছে যান মফস্বল শহরে। বেশ লম্বা গড়ন। তাতে কী? মাথা নিচু করে বস্তির খুপড়ি ঘরে দিব্যি ঢুকে পড়েন। নাকে রুমাল চাপতে হয় না। ব্রথেলেও তো মানুষ থাকে, মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি। তার একদম বাধে না। ছিঃ! ছিঃ! নেই কোন। বরং সমাজের অনাদরে, অবহেলায়, ধুঁকে ধুঁকে মরতে থাকা মানুষকে বাঁচানোর জন্য কাজ করেন তিনি। তাদের বিনামূল্যে জরুরী ও উন্নত চিকিৎসা সেবা দেন। শুধু কি তাই? কার জীবনের কী গল্প আপনজনের মতো পাশে বসে জানার চেষ্টা করেন। বেদনায় ভরা ওইসব জীবনের গল্প বলতে বলতেই কখন যেন নিজে কেঁদে ফেলেন। এলিজাবেথ মেক্লিলানকে বাংলাদেশে কয়েক দফা অনুসরণ করে, কথা বলে মনে হয়েছে, মহাত্মা একেই বলে। ব্যক্তিগত সুখ, স্বপ্ন, বিলাসিতা বলে কিছু নেই। বিয়ে থা পর্যন্ত করেননি। আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার মাঝেই জীবনের সার্থকতা খুঁজে পান। আর তাই পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত অর্থনীতির দেশ, সমৃদ্ধির দেশ ছেড়ে বছরে অন্তত দু’বার বাংলাদেশে আসেন তিনি। একলাটি আসেন এমন নয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও নার্সদের সঙ্গে নিয়ে আসেন। এবারও এসেছেন। তার বিশাল টিম যথারীতি ব্যস্ত সময় পার করছে। জানা যায়, তারও বহু আগে বৃহৎ পরিসরে কাজ করার সুবিধার্তে ‘পার্টনার্স ফর ওয়ার্ল্ড হেলথ’ নামে অলাভজনক সংগঠন গড়ে তোলেন তিনি। মূলত এর মাধ্যমে সমমনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের খুঁজে নেন। সংগঠিত করেন। এখন হাজারদেড়েক ডাক্তার-নার্স সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। পরের স্বার্থে কাজ করার বড় একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে পার্টনার ফর ওয়ার্ল্ড হেলথ। কাজ করছে বাংলাদেশেও। ২০১৭ সাল থেকে রোটারি ক্লাব অব ঢাকা ম্যাভেরিক্সের সঙ্গে যৌথভাবে কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। কিছুদিন আগে মহীয়সী নারীর কর্মকান্ড সরেজমিন দেখতে টাঙ্গাইলে গিয়েছিলেন এই প্রতিবেদক। শহরের শেষপ্রান্তে বহুকালের পুরনো ব্রথেল। ‘ভদ্রলোকেরা’ সেদিকে যান না। অন্তত দিনেরবেলায় তো নয়ই। কিন্তু এলিজাবেথ মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করেছিলেন সেখানেই। আগেও করেছেন। ফলে পল্লীটি তার খুব চেনা। কোন্ গেট দিয়ে পল্লীতে ঢুকতে হবে, কোন্ মেয়েটির কী নাম, কোন্টি কার ঘরÑ সবই মোটামুটি জানা তার। যৌনকর্মীদের একটি সমিতি আছে। সমিতির পক্ষ থেকে আগেই এলিজাবেথের আসার খবর জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিছু সময়ের মধ্যে আসতে শুরু করেন তারা। ততক্ষণে প্রয়োজনীয় ওষুধ-ইঞ্জেকশন, ব্যান্ডেজ প্রস্তুত করে ফেলেছেন মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা। সেক্সওয়ার্কারদের শরীরে নানা রোগ। রোগের লক্ষণ। এখানে ক্ষত। ওখানে চিরে ঘা হয়ে গেছে। সবই খুঁটিয়ে দেখছিলেন ডাক্তার ও নার্সরা। ওষুধ দিচ্ছিলেন। প্রেসক্রিপশন দিচ্ছিলেন। রোটারিয়ানরাও কাজ করছিলেন তাদের সঙ্গে। এরই এক ফাঁকে চেয়ার ছেড়ে উঠে যান এলিজাবেথ। এখানকার অনেক মেয়ে তার পূর্বপরিচিত। আগে চিকিৎসা নিয়েছে। এখন কেমন আছে? জানতে এর-ওর সঙ্গে কথা বলছিলেন। ব্রথেলের মেয়েরাও ‘বিদেশী আপা’র সঙ্গে কী সুন্দর মিশে যাচ্ছিল। এলিজাবেথ ইংরেজীতে বলছিলেন। মেয়েরা বলছিল বাংলায়। আবার কখনও কখনও এলিজাবেথ বাংলায় বলার চেষ্টা করছিলেন। মেয়েরা চেষ্টা করছিল ইংরেজীতে বলার! এভাবে যোগাযোগটা হয়েই যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে এই প্রতিবেদকে কাছে ডেকে নিয়ে ফাঁকা একটি জায়গার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করেন এলিজাবেথ। বলেন, ওদের টয়লেটের খুব সমস্যা। এ জায়গাটিতে পরিচ্ছন্ন টয়লেটের ব্যবস্থা করা গেলে কী যে ভাল হতো! একই প্রসঙ্গে নিজের আরেকটি ইচ্ছার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি সেক্সওয়ার্কারদের জন্য একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র করতে চাই। যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়, তাদের সুযোগ করে দিতে চাই। এ থেকেও বোঝা যায়, এলিজাবেথ শুধু একজন নার্স হিসেবে নয়, মানবিক মানুষ হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সকালে শুরু হওয়া মেডিক্যাল ক্যাম্প চলে বিকেল পর্যন্ত। পরে এলিজাবেথ পল্লীর সরু গলি ধরে হেঁটে যেতে থাকেন। একটি মেয়েকে খুব ছোট দেখেছিলেন, এখন নাকি বড় হয়ে গেছে। কত বড়? জানার জন্য সে কী ব্যাকুলতা! টের পেয়ে কয়েকজন মিলে খুঁজে বের করল তাকে। মেয়েটিও কৃতজ্ঞ ভঙ্গিতে দাঁড়াল এলিজাথেরে সামনে। বেশ কয়েকটি ঘরের সামনে থামলেন এলিজাবেথ। দ্বিধাহীনভাবে জড়িয়ে ধরলেন ওইসব ঘরে বসবাস মেয়েদের! চিবুক স্পর্শ করলেন। নিজ দেশের ক’জন পারে এমন ভালবাসতে? এলিজাবেথ ছুটে যান হাসপাতালেও। বিশেষ করে ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে নারীদের আগাম সচেতন করতে অনেকদিন ধরে কাজ করছেন তিনি। এর অংশ হিসেবে প্রায় প্রতিবারই ঢাকার ক্যান্সার হাসপাতালে যান। তার সঙ্গে যাওয়া হয় সেখানেও। গিয়ে দেখা যায়, নার্সদের কাছে খুব জনপ্রিয় এলিজাবেথ। হাসপাতালে প্রবেশ করতেই তার কাছে ছুটে আসেন কয়েক নার্স। ওষুধ ইত্যাদি ভর্তি বিশাল ব্যাগটি একজন টেনে নিয়ে যান। অন্য নার্সরাও এলে তাদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন এলিজাবেথ। বক্তব্য বলতে, উজ্জীবিত করার জন্য বলা। নার্সিং পেশা কত মহান সেটি স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। মানুষের সেবা করতে পারার মাঝে যে সুখ তা উপলব্ধি করার পরামর্শ দেন। প্রয়োজনীয় কিছু প্রশিক্ষণও দেয়া হয়। পরে যান ওয়ার্ডে। যেতে যেতে একটি বেডের কাছে গিয়ে হঠাৎ থামেন। দেখতে দেখতে যেন বেদনায় ডুবে যান তিনি। কেন? জানতে চাইলে এলিজাবেথের ভেতরে যে কোমল হৃদয়, সেটি কথা বলে ওঠে। তিনি বলেন, এই বেডে নূপুর নামের একটি মেয়ে ছিল। এইটুকুন মেয়েটা, ২১ বছর হবে। কখন যে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে, টের পায়নি। একেবারে শেষ স্টেজে যখন, এখানে ভর্তি হয়েছিল। কী সুন্দর দেখতে মুখ। কত গল্প হয়েছে ওর সঙ্গে। বাঁচার আকুতি ছিল চোখে-মুখে। কিন্তু আমি জানতাম, আর ওকে বাঁচানো যাবে না। চোখের সামনে যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মেয়েটা মারা যাচ্ছিল...। এবার এসে আর পেলাম না। হ্যাঁ, নূপুরের যন্ত্রণা যেন এলিজাবেথ নিজে অনুভব করছিলেন! অবশ্য আরও একটি কারণ আছে। এলিজাবেথের মায়ের মৃত্যু হয়েছিল ব্রেস্ট ক্যান্সারে। সেই বিষাদ আজও ভুলতে পারেননি তিনি। অনুভূতিপ্রবণ এই নারী বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা-মায়েরা অহেতুক লজ্জা পান। স্তন ক্যান্সার নিয়ে কথা পর্যন্ত বলতে চান না। ব্যথা-বেদনা আড়াল করে রাখেন। ফলে যখন হাসপাতালে আসেন তখন আর আশা থাকে না। বাঁচানো মুশকিল হয়ে যায়। এ অবস্থায় ব্রেস্ট ক্যান্সার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি। মহিলাদের একটি ওয়ার্ডে গিয়ে রোগী ও তার স্বজনদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণগুলো পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বলেন। এখানেই শেষ নয়, ব্যাগে করে নিয়ে আসা কৃত্রিম ব্রেস্টে নারীদের আঙুল ছোঁয়াতে বলেন তিনি। কোথাও কি গোঁটা বা বিচির মতো মনে হচ্ছে? নিজের বেলায় এমনটি মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করাতে হবে। পরামর্শ দেন তিনি। এলিজাবেথের আরেকটি বড় কাজ- যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতাল থেকে অব্যবহৃত মূল্যবান যন্ত্রপাতি, সার্জিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট, নার্সদের জন্য অবশ্যপাঠ্য হ্যান্ডবুক ইত্যাদি সংগ্রহ করে যেসব হাসপাতালের প্রয়োজন সেসব হাসপাতালে সরবরাহের ব্যবস্থা করা। নিজ দেশ থেকে বড় ও বিশেষ ব্যাগ ভর্তি করে মেডিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট নিয়ে আসেন তিনি। এসব আধুনিক যন্ত্রপাতি, চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনতে হলে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এলিজাবেথের উদ্যোগের ফলে বিনামূল্যে পাচ্ছে বাংলাদেশ। কেন এই বাংলাদেশ নিয়ে স্বতন্ত্র আবেগ-অনুভূতি? কবে প্রথম এ দেশে আসা? ইত্যাদি প্রশ্ন মনে নিয়ে গুলশানে আলাদা করে বসা হয়েছিল এলিজাবেথের সঙ্গে। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলছিলেন, ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত এক কনফারেন্সে বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনেছিলাম আমি। তার পর থেকে আগ্রহ বোধ করি। ২০১১ সালে প্রথম আসি এ দেশে। তখন কাউকে তেমন চিনতাম না। এখন সমমনা অনেক বন্ধু-সুহৃদ হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৩ বারের মতো বাংলাদেশে এসেছি আমি। আরও আসব। এই যে বাংলাদেশে এত সময় নষ্ট করছেন... বাক্য শেষ করার আগেই থামিয় দেন তিনি। বলেন, আমি মোটেও আমার সময় নষ্ট করছি না। আমি আমার সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার করছি এখানে। এখানকার লোকজন আমার খুব ভাললাগে। এরা ফ্যামিলি পিপল। আমি হেঁটে বেড়াই। বস্তিতে যাই। ব্রথেলে যাই। তখন লক্ষ্য করি, দুঃখ-কষ্টের মাঝেও ওরা কী সুন্দর হাসে! আমি তাদের পাশে বসি। কথা বলি। ওরা নিজের জীবনের অনেক কথা আমাকে বলে। সংগ্রামী জীবনের গল্প শুনে আমি নিজেকে তাদের একজন ভাবতে পারি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমার দুই বোন, এক ভাই আছে। তারা তাদের সংসার নিয়ে যে যার মতো ব্যস্ত। আমি বেছে নিয়েছি এই জীবন। আমার সৌভাগ্য যে, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছিলাম। পেয়েছি অনেক। এখন সময় এসেছে দেয়ার। মানুষকে ফেরত দিতে চাই আমি। এ পৃথিবীতে ব্যতিক্রম কিছু করে যেতে চাই। অনেক মানুষ এ কাজে তাকে সহযোগিতা করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ডাক্তাররা, মেডিক্যাল স্টুডেন্টরা এতই আগ্রহী যে, নিজেরা টাকা জমিয়ে সে টাকায় বাংলাদেশে চলে আসছে। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজন খ্যাতিমান চিকিৎসক ও নার্স বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন বলে জানান তিনি। সংগঠনের সঙ্গে আগে কাজ করা আরেক নার্স জিনি নাকি বাংলাদেশে এসে মানুষের সেবা করার লক্ষ্যে একটি রেস্তরাঁয় পার্টটাইম কাজ করছেন। ভাবা যায়? এলিজাবেথ এই নিয়ে, এদের নিয়ে থাকতে চান। ঘর-সংসারে প্রবেশ করা হবে না। হবে? এমন প্রশ্ন প্রথমে হাসিতে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। পরে বলেন, আমার কাজে সমর্থন দেবে, সহযোগিতা করবে এমন কাউকে পেলে হয়ত বিয়ে করতাম। হয়ত করব। না করা পর্যন্ত বঞ্চিত মানুষই আমার মানুষ। আমার ঘর-সংসার! কী আত্মত্যাগ! বিলিয়ে দেয়া! এর পরও নিজেকে ‘স্পেশাল’ জ্ঞান করতে নারাজ তিনি। বরং বলেন, সীমিত সময় নিয়ে আমরা পৃথিবীতে এসেছি। মানুষের জন্য কিছু করতে হবে। করে যেতে চাই। একটা জীবন, অনেক মানুষের কাজে আসছে- এর চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে? আহা, সবাই যদি এভাবে ভাবতে পারত!
×