ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আট কোটি টাকার ১৫ কেজি বার পরিত্যক্ত উদ্ধার

সোনা চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে না শাহজালাল হয়ে

প্রকাশিত: ১১:০৯, ২৪ মার্চ ২০১৯

সোনা চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে না শাহজালাল হয়ে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ সব এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত। তারপরও ঠেকানো যাচ্ছে না সোনা চোরাচালানের নানা কৌশল। এমন নিদ্রি নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাঝে ময়লার ঝুড়িতে আবারও মিলেছে সোনার চালান। এক-আধটু সোনা নয়। আট কোটি টাকা মূল্যের পনেরো কেজি সোনার বার পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এগুলো রাখা ছিল ময়লার ঝুড়িতে। শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের একটি দল সোনার এসব বার উদ্ধার করে। ৭ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজের পাশে জেন্টস ওয়াশরুমের আবর্জনা ফেলার ঝুড়ির ভেতরে সাদা স্কচটেপে মোড়ানো ৯টি প্যাকেটে ৪৮টি বার উদ্ধার করা হয়েছে; যার ওজন ১৫ কেজি ৭৩৮ গ্রাম। যখন উদ্ধার করা হয় তখন এক নিরাপত্তা কর্মী উপস্থিত অনেক সরকারী সংস্থার সামনেই ক্ষুব্ধকণ্ঠে মন্তব্য করেন, এত নিরাপত্তার মাঝে সোনা ঢুকে কিভাবে। তাহলে আরসিসি ক্যামেরার দরকার কি? এ বিষয়ে জানতে চাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. শহীদুল ইসলাম জানান, সোনার একটি বড় চালান আসার গোপন সংবাদ সোর্স আগেই নিশ্চিত করেছিল। সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিল শুল্ক গোয়েন্দারা। গভীর রাতে তারা জেন্টস ওয়াশরুমের আবর্জনা ফেলার ঝুড়িতে পরিত্যক্ত অবস্থায় সাদা স্কচটেপে সোনার বারগুলো দেখতে পায়। উদ্ধারকৃত সোনার মূল্য ৭ কোটি ৮৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা (প্রায়)। এ বিষয়ে শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কারা এ সোনা এখানে এনেছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা তদন্তের বিষয়। আগে থেকে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে অবশ্যই তারা ধরা পড়বে। চারদিকে সিসি ক্যামেরার মাঝেও কিভাবে সোনার চালান ময়লার ঝুড়িতে রাখা হয় জানতে চাইলে বিমানবন্দরের এপিবিএন কো-অধিনায়ক এডিশনাল এসপি আলমগীর হোসাইন শিমুল বলেন, আমরা সজাগ ও তৎপর আছি বলেই তো ওরা সোনার চালান এনেও বের করতে পারছে না। ময়লার ঝুড়িতে ফেলে রেখে যেতে বাধ্য হয়। এতে প্রমাণ হয়, পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভাল। তবে এটাও বের করা হবে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শনাক্ত করার উপায় রয়েছে।
×