ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থনীতিতে বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অবদান

প্রকাশিত: ১২:১৬, ২৪ মার্চ ২০১৯

অর্থনীতিতে বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অবদান

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন আর কোন সায়েন্স ফিকশন নয়। মানুষকে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এক কদম এগিয়ে দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সাশ্রয় হচ্ছে সময়, যে কোন কাজেই আসছে গতিশীলতা। আর এভাবেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভূমিকা রাখছে অর্থনীতিতে। ব্যস্ততম বন্দরের হাজারটা কাজ গুছিয়ে নিতে সাহায্য করা বা ট্রাফিক জ্যামের জন্য বিকল্প রাস্তা বের করে দেয়া- কোথায় নেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়! ২০১৮ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) ভূমিকা ছিল ২ বিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি পিডব্লিউসির প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে ২০৩০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা পৌঁছাবে ১৫ ট্রিলিয়ন ডলারে। তাদের ধারণা চীনের অর্থনীতির ২৬ ভাগ আসবে এআই থেকে। এছাড়াও বৈশ্বিক অর্থনীতির ৪৫ ভাগের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোন না কোনভাবে সম্প্রীত থাকবে। বিংশ শতাব্দীতে যেমন বিদ্যুত অর্থনীতির চাকায় নতুন গতি এনে দিয়েছিল ঠিক একইভাবে একবিংশ শতাব্দীতে একই ধরনের গতি এনে দেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এ জন্যই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ‘অর্থনীতির নব্য বিদ্যুত’ বলা হচ্ছে। বর্তমানে চিকিৎসা সেবা, গাড়ি নির্মাণ এবং অর্থনৈতিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপকভাবে এআই ব্যবহার হচ্ছে। ধাতু এবং পেট্রোলিয়াম খনন কাজেও ভরসা রাখা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর। অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্তও নিচ্ছে প্রযুক্তি। ১০ বছর আগে রিও টিনটো তাদের খনিতে প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর ট্রাক ব্যবহার শুরু করে। এতে জ্বালানি খরচ কমে আসে এবং পূর্বের চেয়ে নিরাপত্তাও বৃদ্ধি পায়। ২০২১ সালে এই কোম্পানি অস্ট্রেলিয়ার একটি খনিতে ‘ইন্টেলিজেন্ট মাইনিং’ শুরু করবে। এটিই হবে বিশ্বের প্রথম ব্যাপকমাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর খনন। প্রযুক্তি জায়ান্টরাও ঝুঁকছে এআই-এর বাজার ধরার জন্য। এআই সংক্রান্ত প্যাটেন্টের মধ্যে ৮২৯০টি প্যাটেন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আইবিএম। তারপরের অবস্থানে মাইক্রোসফট। তাদের প্যাটেন্ট ৫ হাজারের কিছু বেশি। বিনিয়োগকারীরা ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে এই খাতে ভাল বিনিয়োগ করছেন। সারতাজ আলীম
×