ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শুক্র গ্রহকে জীবিত গ্রহ বললেন বিজ্ঞানীরা

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ২৪ মার্চ ২০১৯

শুক্র গ্রহকে জীবিত গ্রহ বললেন বিজ্ঞানীরা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ শুক্র গ্রহকে এতদিন ‘ভূতাত্ত্বিকভাবে মৃত’ ভাবা হলেও এখন নতুন গবেষণা থেকে যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছেÑ তাতে প্রমাণ মিলেছে যে শুক্র সম্পর্কে এ ধারণা আসলে কল্পনাপ্রসূত। সম্প্রতি নতুন একটি গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞানীরা শুক্রকে ‘ভীষণভাবে জীবিত গ্রহ’ বলে স্বীকার করেছেন। খবর বিবিসির। নতুন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্র গ্রহের ল্যান্ডস্কেপ বা ভূচিত্র নিয়েও নতুনভাবে ভাবতে শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। শুক্র গ্রহের জন্য নতুন মিশন ‘এনভিশন’ নিয়ে পরিকল্পনা করছে দ্য ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি। সূর্যের নিকটস্থ গ্রহ শুক্র একটি উষ্ণ গ্রহ। এর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৫শ ডিগ্রী সেলসিয়াস। কিন্তু শুধু তাপমাত্রার জন্যই এই গ্রহটি প্রাণশূন্য নয়। বরং এই গ্রহের উপরিতলের চাপ এত বেশি যে তা সয্য করা খুবই দুস্কর। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পৃথিবীর কোন একটি মহাসমুদ্রে ৯০০ মিটার বা ২৭শ ফুট পানির গভীরে একজন মানুষ যে চাপ অনুভব করবে শুক্রের উপরিতলে সব সময়ই তেমন চাপ বিরাজমান। এনভিশন প্রজেক্টের প্রধান গবেষক ড. রিচার্ড গেইল বলেছেন, পৃথিবী ও শুক্র প্রায় একই রকম অবস্থায়, বলতে গেলে যমজের মতো হয়ে তাদের যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু কালক্রমে পৃথিবী পেয়েছে অক্সিজেন, জীবন ও শীতল আবহাওয়া। আর শুক্র গ্রহ অবিরতভাবে কেবল উষ্ণ থেকে উষ্ণতর আর শুষ্ক হয়ে উঠেছে, বলেন ড. গেইল। মঙ্গলের মতো শুক্রেও একসময় প্রাণের বিকাশের উপযোগী পরিস্থিতি ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্র গ্রহ তার পৃষ্ঠতলে অন্তত একশ’ মিলিয়ন বা দশ কোটি বছর ধরে পানি রাখতে পারত বলে মনে করছেন ড. গেইল। তাছাড়া বিলিয়ন বছর ধরে শুক্রের বুকে সাগর থাকাও সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। বিগত ৫০ বছর ধরেই শুক্রের ইতিহাস সন্ধানের চেষ্টা চলছে। ৬০ থেকে ৮০র দশক পর্যন্ত সোভিয়েতরা শুক্রকে নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছে। শুক্রকে একটি ‘টফি গ্রহ’ অর্থাৎ এর বাহ্যিক স্তরটি খুবই পাতলা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই তত্ত্ব নিয়েও কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন শুক্র গ্রহের অনেক জায়গায় উপরের স্তরটি অনেক পুরু হতে পারে।
×