ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় বন্যা প্রতিরোধে যমুনা নদীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ

প্রকাশিত: ০১:৪৭, ২৪ মার্চ ২০১৯

গাইবান্ধায় বন্যা প্রতিরোধে যমুনা নদীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধায় যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আসন্ন বর্ষা মওসুমে নদী ভাঙন ও আকস্মিক বন্যায় গাইবান্ধা সদর ও ফুলছড়ি উপজেলার ব্যাপক এলাকা বন্যা কবলিত হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এতে এ দুটি উপজেলার আবাদি জমির ফসলসহ কয়েক হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রকল্পের কাজটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে নদী ভাঙন ও বন্যার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর যাবত গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাগুড়িয়া থেকে ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়ার গণকবর পর্যন্ত যমুনা নদীর ভাঙনের ব্যাপকতা ও বন্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরী ভিত্তিতে যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ নামে ২০১৮ সালের পহেলা জুন মাস থেকে একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করে। ফুলছড়ি-সাঘাটার এমপি জাতীয় সংসদের স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া এ প্রকল্পের কাজের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এ জন্য ২৯৫ কোটি ৫০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২০২১ সালের জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার বাগুড়িয়ায় ৩শ মিটার, ফুলছড়ির বালাসিতে ১৩শ মিটার, সিংড়িয়ায় ২২শ মিটার ও গণকবর এলাকায় ৭শ মিটার নদীর লুপকাটিং (খনন) করার কথা। দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই বাগুড়িয়ায় ৩শ মিটার, ফুলছড়ির বালাসিতে ৬শ মিটার, সিংড়িয়ায় ৮শ মিটার ও গণকবর এলাকায় ৭শ মিটার নদীর লুপকাটিং করে ক্যানেল তৈরি করেছে। নদী ভাঙন প্রতিরোধে ডাম্পিংয়ের জন্য বালাসিঘাট, সিংড়িয়া ও বাদিয়াখালির রিফাইতপুর এলাকায় ব্ল¬ক দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধের কাজও এগিয়ে চলেছে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড হঠাৎ করেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৫ মার্চ একটি পত্র দিয়ে প্রকল্পটির কাজ বন্ধ করে দেয়। এমতাবস্থায় কবে নাগাদ আবার এই প্রকল্পের কাজ নতুন করে শুরু করা হবে তা এখনও অনিশ্চিত। বালাসির নাজমুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান ও রতনপুর সিংড়িয়ার এলাকার মফিজল, রাজা মিয়াসহ এলাকার লোকজন জানান, বর্ষা মওসুমের আগে কাজ সম্পন্ন না হলে প্রকল্পটির অগ্রগতি ব্যাহত হবে এবং এ বাবদ ব্যয়কৃত টাকা ভেস্তে যাবে। ঠিকাদারের স্থানীয় প্রতিনিধি মেহেদী হাসান বলেন, মাত্র ৭ দিনের নোটিশে হঠাৎ করে কাজ বন্ধ করে দেয়ায় তারা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কেননা ইতোমধ্যে কাজের জন্য তাদের পর্যাপ্ত লোকবল, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি কাজে লাগানো হয়েছিল। এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড, গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি।
×