ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাকিস্তানে দুই হিন্দু বোনকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে

প্রকাশিত: ০২:০১, ২৪ মার্চ ২০১৯

পাকিস্তানে দুই হিন্দু বোনকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে

অনলাইন ডেস্ক ॥ দুই হিন্দু নাবালিকা বোনকে অপহরণ করে, ধর্মান্তর করিয়ে, জোরজবরদস্তি বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে। ঘটনার পরই পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় পাক প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছে। সূত্রের খবর, দুই নাবালিকার একজন ১৩ বছরের, অন্যজন ১৫ বছরের। বাড়ি সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি জেলায়। হোলির দিন সন্ধ্যায় কয়েকজন দুষ্কৃতী জোরজবরদস্তি তাদের বাড়িতে ঢুকে যায়। তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। গান পয়েন্টেই দুই কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার কিছু পরেই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তাতে দেখা যায়, দুই বোনেরই তাদের চেয়ে বয়সে অনেক বড় পাত্রের সঙ্গে নিকাহ (বিয়ে) দেওয়া হচ্ছে। পরে আরও একটি ভিডিয়ো সামনে আসে, তাতে আবার দুই বোনকে বলতে শোনা যায়, তারা স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়েছে। বিয়ে করতেও তাদের কেউ জোর করেনি। ভিডিয়োতে তাদের জোর করে ও সব কথা বলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাকিস্তানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পাকিস্তান হিন্দু সেবা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রেসিডেন্ট সনজেশ ধনজা জানান, সিন্ধু প্রদেশে এই ঘটনা নতুন নয়। প্রায়ই হিন্দু মেয়েদের অপহরণ করে ধর্ম পরিবর্তনে বাধ্য করা হয়। তার পর অনেক বেশি বয়সের পুরুষের সঙ্গে তাঁদের বিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টাতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার আগে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তিনি নিয়েছিলেন। সংখ্যালঘুরা পাকিস্তানে নিরাপদে রয়েছেন, পাক প্রধানমন্ত্রীকে তার প্রমাণ দিতে হবে, দাবি ধনজার। ধনজা আরও জানান, ঘটনার পরই ওই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তাদের ভাই। সেই অভিযোগে জানানো হয়েছে, কিছু দিন আগে বাবার সঙ্গে অভিযুক্তদের গোলমাল হয়েছিল। হোলির দিন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তারা বাড়িতে হাজির হয়। জোরজবরদস্তি তাঁর দুই বোনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্মান্তর নিয়ে অনেক আগে থেকেই সরব পাকিস্তানের মুসলিম লিগের সদস্য নন্দকুমার গোখলানি। খুব তাড়াতাড়ি যাতে এর বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করা হয়, পাক প্রশাসনকে তার আর্জি জানিয়েছেন তিনিও। ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও ইসলামাবাদে ভারতের রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে পুরো ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×