ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শাহনাজ রহমতুল্লাহ'র দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ২৪ মার্চ ২০১৯

শাহনাজ রহমতুল্লাহ'র দাফন সম্পন্ন

অনলাইন রিপোর্টার ॥ দুই ছেলে-মেয়ের অপেক্ষায় না থেকে আজ রবিবার বাদ জোহর বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বনানীস্থ সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর কবরস্থানে দাফন করা হয় নন্দিত কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহকে। এর আগে বাদ জোহর একমাত্র জানাজা হলো বারিধারার ৯ নম্বর রোডের পার্ক মসজিদে। ছেলে-মেয়ের অপেক্ষায় না থেকে দাফনের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে শাহনাজ রহমতুল্লাহর স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমতুল্লাহ বলেন, ‘যে গেছে তাকে তো আর ফেরানো যাবে না। ছেলে কবে আসতে পারছে তার নিশ্চয়তা নেই। কারণ টিকিট পাওয়ার বিষয় আছে। সে এলে দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেবে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন।’ তবে একমাত্র মেয়ে লন্ডন থেকে আসছেন কি না সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। এদিকে গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে বারিধারাস্থ নিজ বাসাতেই এই নন্দিত শিল্পী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এসময় তার পাশে ছিলেন স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমতুল্লাহ। ১৯৫২ সালের ২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সংগীতের এই কিংবদন্তি শিল্পী। মাত্র ১১ বছর বয়সে রেডিও ও চলচ্চিত্রের গানে তার যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৩ সালে। ‘নতুন সুর’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেছিলেন শাহনাজ রহমতুল্লাহ। পাকিস্তানে থাকার সুবাদে করাচি টিভি-রেডিওসহ উর্দু ছবিতেও অনেক গান করেছেন এই শিল্পী। গান শিখেছেন গজল সম্রাট মেহেদী হাসানের কাছে। গানের জগতে পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ে রেডিও, টেলিভিশন আর চলচ্চিত্রের অসংখ্য গানের পাশাপাশি শাহনাজ রহমতুল্লাহর অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে চারটি। প্রথমটি ছিল প্রণব ঘোষের সুরে ‘বারটি বছর পরে’, তারপর প্রকাশিত হয় আলাউদ্দিন আলীর সুরে ‘শুধু কি আমার ভুল’। সংগীতে অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কারসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকায় শাহনাজ রহমতুল্লাহর গাওয়া চারটি গান স্থান পায়। এরমধ্যে আনোয়ার পারভেজের সুরে করা দুটি গান, খান আতাউর রহমান ও আবদুল লতিফের সুরে দুটি ভিন্ন গান রয়েছে। উল্লেখ্য, শাহনাজ রহমতুল্লাহর বড় ভাই সুরকার আনোয়ার পারভেজ, আরেক ভাই নায়ক ও গায়ক জাফর ইকবাল।
×