নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ২৪ মার্চ ॥ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে। তিন বছর পর পর সম্মেলন হয়। ওদের মেয়াদ কয়েকদিন আগে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু সম্মেলন করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, একটা দলের প্রধান দুর্নীতি মামলার আসামি হয়ে জেলে। আর একজন ভারপ্রপ্ত। দেশে নেই। বিদেশে পালিয়ে আছে। খুনের মামলার আসামি হিসেবে। সে যদি নেতা হয়। সেই দলের অস্তিত্ব থাকে। আজ বিএনপি অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে। তিনি বলেন, ওদের নেত্রী জেলে ওরা কিছুই করতে পারেনি। না পারে
কোর্টে। না পারে মাঠে। রবিবার দুপুরে ভোলা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চতুর্থ দিনের মতবিনিময় সভায় সদর উপজেলা বাপ্তা ও কাচিয়া ইউনিয়নের আওয়মী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, আমরা করেছি। ৭ বার জেলে গেছি। আমি বঙ্গন্ধুুর হত্যার পর ৩৩ মাস জেলে ছিলাম। আমাকে গ্রেফতার করে হাত চোখ বেধে অত্যাচার করেছিল। আমি মাথা নত করিনি। ময়মনসিংহ জেলে ২০ মাস, কুষ্টিয়া জেলে ১৩ মাস ছিলাম। আবার সিলেটে ফাঁসির আসামির মতো রাখা হয়েছে। ময়মনসিংহ জেলেও ৩ মাস সূর্যের আলো দেখিনি। ৮৪ সালে আবার গ্রেফতার করে কুমিল্লা কারাগারে রাখা হয়। ৮৬ সালে ভোলায় গ্রেফতার করে বরিশাল কারাগারের একটি কক্ষে এককভাবে বন্ধী করে রাখা হয়। ৯৬ সালেও গ্রেফতার করে রাজশাহী কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। ২০০২ সালে গ্রেফতার করে কুষ্টিয়া ও কাসিমপুর কারাগারে রাখা হয়। কিন্তু আমরা মাথা নত করিনি। তিনি আরও বলেন, ওদের কল নেতৃবৃন্দ কোন আন্দোলনেও নেই সংগঠনেও নেই। কোন কিছু নেই। এটাই বিএনপির জন্য প্রাপ্য ছিল। কারণ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।