অনলাইন ডেস্ক ॥ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ও প্রায় শখানেক সেনাসদস্য বহনকারী দুইটি বিমান ভেনেজুয়েলায় অবতরণ করেছে। শনিবার দেশটির প্রধান বিমানবন্দরে বিমান দুটি অবতরণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভেনেজুয়েলার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়ান এয়ার ফোর্সের বিমানে সেনাদের ভেনেজুয়েলা পাঠালো মস্কো।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকট ভেনেজুয়েলার জনগণকে তাড়িত করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। বিক্ষোভের সুযোগে গত ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো। এরপরই তাকে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫০টিরও বেশি দেশ। এরপর দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি শোডাউনের মধ্যেই গত ৮ মার্চ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ভেনেজুয়েলার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা। দেশটির ২৩টির মধ্যে ১৮টি রাজ্যেই অন্ধকারে কাটাতে হয় বাসিন্দাদের। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সরকারবিরোধীরা এই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এর মধ্যেই ভেনেজুয়েলায় সেনা পাঠালো রাশিয়া।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং-এর সঙ্গে যুক্ত একটি ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, শুক্রবার রাশিয়ার মিলিটারি এয়ারপোর্ট থেকে ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসের উদ্দেশে যাত্রা করে দুটি বিমান। আরেকটি ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইটে দেখা গেছে, শনিবার রাশিয়ার একটি প্লেন কারাকাস ছেড়েছে। তবে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এ বিষয়ে ভেনেজুয়েলার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর প্রতি সমর্থনের বার্তা দিতে তিন মাস আগে দেশটিতে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেয় রুশ বাহিনী। তবে ওই মহড়াকে অঞ্চলটিতে রাশিয়ার অনধিকার চর্চা হিসেবে আখ্যায়িত করে এর সমালোচনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে জেভিয়ার মেয়র্কা নামের একজন সাংবাদিক লিখেছেন, রাশিয়ার পাঠানো প্রথম বিমানটিতে অন্যদের সঙ্গে দেশটির সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফও ছিলেন। আর দ্বিতীয় প্লেনটি ছিল একটি কার্গো বিমান। এতে ৩৫ টন সামগ্রী বহন করা হয়।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইটের তথ্য অনুযায়ী, কার্গো বিমানটি রবিবার বিকালে ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাস ত্যাগ করে।
