ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফুল চাষে চীনের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান

প্রকাশিত: ০৯:০৩, ২৬ মার্চ ২০১৯

ফুল চাষে চীনের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ফুল চাষ বহুমুখীকরণে চীনের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া ইউনান প্রদেশের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের মেশিনারিজ উৎপাদন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সোমবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ওসামা তাসীরের সঙ্গে চীনের দি ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স অব ইউনান প্রভিন্সের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর ইউয়ান লিনের নেতৃত্বে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ৪০১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে আমদানি ও রফতানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১১৭০৬ ও ৬৯৪ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাণিজ্য প্রতিবছর বাড়ছে। ডিসিসিআই সভাপতি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে পৌঁছবে। তিনি বলেন, ইউনান প্রদেশ মেশিনারিজ উৎপাদনে অত্যন্ত দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছে। এই খাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে আরও বেশি হারে বিনিয়োগ ও শিল্প-কারখানা স্থাপন করার জন্য ঢাকা চেম্বারের পক্ষ থেকে আহ্বান করা হলো। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এবং ফুল চাষের বহুমুখীকরণ, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে ইউনানের এ খাতের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার প্রয়োজন। এছাড়া বাংলাদেশে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য, পর্যটন, ফুল চাষাবাদ, ওষুধ, যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা এবং সমুদ্র অর্থনীতি প্রভৃতি খাত সমূহ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এসব খাত সমূহে চীন ও বাংলাদেশের উদ্যোক্তাগণ যৌথ বিনিয়োগ করতে পারে। তিনি বলেন, চীন ও আসিয়ান অঞ্চলের দেশসমূহরে সঙ্গে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ‘লুক ইস্ট’ নীতিমালা গ্রহণ করেছে। প্রতিনিধিদলের দলনেতা ইউয়ান লিন জানান, ২০১৮ সালে ইউনান প্রদেশের মোট আমদানি-রফতানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই প্রদেশটির উদ্যোক্তাগণ শুধুমাত্র মেশিনারিজ পণ্য রফতানি করেছে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উপরে। তিনি বলেন, ইউনান প্রদেশে মেশিনারিজ উৎপাদনে চীনের অন্য প্রদেশের মধ্যে চতুর্থ এবং চীনের উদ্যোক্তাবৃন্দ এ খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনে আগ্রহী। পাশাপাশি ইউনান প্রদেশ প্রচুর পরিমাণে কফি, তামাক, রাবার, ফুল প্রভৃতি উৎপাদন করে থাকে। তিনি বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের এ ধরনের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ইউনানকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ভৌগোলিক দিক থেকে বাংলাদেশ এবং ইউনান প্রদেশ বেশ কাছাকাছি অবস্থান করলেও তাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আশানুরূপভাবে বৃদ্ধি পায়নি। এমতাবস্থায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক আলহাজ দ্বীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, হোসেন এ সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আল আমিন, মোহাম্মদ বাশীর উদ্দিন, শামস মাহমুদ এবং এস এম জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
×