ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আমতলীতে বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ ॥ হুমকিতে এলাকাবাসী

প্রকাশিত: ০৯:০৬, ২৬ মার্চ ২০১৯

আমতলীতে বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ ॥ হুমকিতে এলাকাবাসী

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২৫ মার্চ ॥ আমতলী উপজেলার আঙ্গুলকাটা এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে মুন্সি ব্রিকসের মালামাল আনা নেয়া করছে ব্রিকস মালিক বদিউল আলম বাদল মুন্সি। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাঁধ কেটেছে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস হলে তলিয়ে যাবে গুলিশাখালী ইউনিয়ন। এতে হুমকির মুখে রয়েছে ওই এলাকার ৬০ হাজার মানুষ। জানা গেছে, ১৯৮০ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড পায়রা নদী ঘেঁষা আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে রক্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে। ওই বাঁধ নির্মাণ করায় গুলিশাখালী ইউনিয়নের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ সিডর, আইলা ও মহাসেনের মতো জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু গত বছর ডিসেম্বর মাসে ৪৩/২ এফ পোল্ডারের আঙ্গুলকাটা নামক স্থান দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী মুন্সি ব্রিকসের মালিক বদিউল আলম বাদল মুন্সি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে তার ব্রিকসের মালামাল আনা নেয়া করছে। কোন জলোচ্ছ্বাস হলেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাটা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে এলাকা তলিয়ে যাবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৬০ হাজার মানুষ। এছাড়াও লবণ পানি ঢুকে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার করে ব্রিকস মালিককে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। রবিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আঙ্গুলকাটা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে মুন্সি ব্রিকসের মালামাল বাঁধের একপাশ থেকে অন্য পাশে আনা নেয়া করছে। সুড়ঙ্গের উপরে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখা হয়েছে। ওই গাছের গুঁড়ির উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে। আঙ্গুলকাটা গ্রামের ফিরোজ মাহমুদ, মিজানুর ফকির ও আবুল হোসেন জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ করে ব্রিকসের মালামাল আনা নেয়া করছে ব্রিকস মালিক। জলোচ্ছ্বাস হলে পায়রা নদীর পানি ঢুকে গুলিশাখালী ইউনিয়ন তলিয়ে যাবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬০ হাজার মানুষ। দ্রুত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার করার দাবি জানান তারা। মুন্সি ব্রিকসের মালিক বদিউল আলম বাদল মুন্সি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ করে ব্রিকসের মালামাল নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রতি বছর রাস্তা কেটে মালামাল আনা নেয়া করি, এ বছরও করেছি। দু-এক দিনের মধ্যে রাস্তা বেঁধে দেয়া হবে।
×