ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিকৃবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা হয়নি ॥ তিনজনকে আসামি করে মামলা

প্রকাশিত: ১১:১৩, ২৬ মার্চ ২০১৯

সিকৃবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা হয়নি ॥ তিনজনকে আসামি করে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ মেধাবী ছাত্র ঘোরী ওয়াসিম আব্বাস হত্যার প্রতিবাদে ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোমবারও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) কোন ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি। রবিবার শিক্ষার্থী ঘোরি মোঃ ওয়াসিম আব্বাসকে বাসচাপা দিয়ে হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তিন দিনের কর্মসূচীতে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- অভিযুক্ত চালক ও হেলপারের ফাঁসি দ্রুত কার্যকর করা, উদার পরিবহনের রোড পারমিট ও লাইসেন্স বাতিল করা, লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহাসড়কে চলতে না দেয়া, অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি না চালানো এবং সড়কে শিক্ষার্থীসহ সকল যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আব্বাস হত্যার ঘটনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচী ঘোষণা করে। গত রবিবার থেকে কর্মসূচী শুরু হয়েছে। এদিকে ওয়াসিমের রুহের মাগফেরাত কামনায় সোমবার বাদ আছর সিকৃবি ক্যাম্পাসে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ৩ জনকে আসামি করে মামলা ॥ শিক্ষার্থী ঘোরী মোঃ ওয়াসিমকে বাস থেকে ফেলে হত্যার ঘটনায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে মৌলভীবাজার মডেল থানায় এ মামলা অভিযোগ দায়ের করেন সিকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কু-। (মামলা নং-২২, তারিখ ২৫/৩ ২০১৯ইং, ধারা ৩০২/৩৪।) মামলার আসামিরা হলেন, বাসচালক জুয়েল আহমদ (৩০), হেলপার মাসুক মিয়া (৩১) ও সুপারভাইজার শেফুল মিয়া (৩৫)। এর মধ্যে সুপারভাইজার এখনও পালতক রয়েছে। ঘটনার সময় নিহত ওয়াসিমের সঙ্গে থাকা ১০ শিক্ষার্থীকে সাক্ষী করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যার দিকে সিকৃবি শিক্ষার্থী ঘোরী মোঃ ওয়াসিম আব্বাসকে উদার পরিবহনের একটি বাস থেকে ঢাকা-সিলেট রোডের শেরপুর এলাকায় ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাসের হেল্পার তাকে ফেলে দেয়। ঘটনাস্থলেই বাসের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ওয়াসিমের মৃত্যু হয়। শাবি ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা ॥ এদিকে শাবি সংবাদদাতা জানান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগ নেতা রাজীব সরকারের ওপর প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলার ঘটনায় মামলা করেছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনকে আসামি করে এ মামলা (মামলা নম্বর-৩০) দায়ের করেন। জালালাবাদ থানার পুলিশ জানায়, মামলার আসামিরা হলো, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাহবুব শোভন, ইংরেজী বিভাগের মুজাহিদুল ইসলাম রিশাদ, বাংলা বিভাগের কাওসার আহমেদ সোহাগ, লোকপ্রশাসন বিভাগের সুমন মিয়া, একই বিভাগের সুজন, বৈষ্ণব, কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইফতেখার আহমদ রানা, সমুদ্র, বিজ্ঞান বিভাগের আমিনুল ইসলাম এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের আবদুল বারী সজীব। এরা সকলেই শাখা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেনের অনুসারী। থানারওসি বলেন, আমরা মামলা পেয়েছি। আইন অনুযায়ী আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ ইশফাকুল হোসেন বলেন, আমরা বিশ^বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করেছি। আইনানুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মামলায় বলা হয়েছে।
×