ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ

প্রকাশিত: ১৩:১৬, ২৬ মার্চ ২০১৯

নতুন করে রোহিঙ্গা  অনুপ্রবেশ রোধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ নতুন করে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে থাকতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাখাইনের কিছু কিছু গ্রামে আবারও নতুন করে অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করেছে মিয়ানমার সরকার। সেখানকার নির্যাতিত রোহিঙ্গা ও রাখাইনের অধিবাসীরা এখানে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। সুযোগ পেলেই তারা কক্সাবাজার, বান্দরবান ও অন্য এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়বে। মিয়ানমারের কোন নাগরিক বা রোহিঙ্গা যাতে নতুন করে এদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে। সোমবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক টাস্কফোর্স সভা, জেলা প্রশাসকগণের সমন্বয় সভা, বিভাগীয় রাজস্ব সম্মেলন, বিভাগীয় উন্নয়ন সভা ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণের সঙ্গে সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পৃথক পৃথক আয়োজনে সভাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে আসা মাদক, অস্ত্রের চোরাচালান ও তেল পাচার রোধে সড়ক পথের পাশাপাশি নৌপথে টহল অব্যাহত রাখাসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটতে পারবে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখাসহ দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গীবাদ ও চোরাচালানসহ অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এসব অপরাধ রোধে প্রশাসনের থাকবে জিরো টলারেন্স। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কঠোর নজরদারি দিতে হবে। সরকারে দেয়া নির্দেশনা অমান্য করা যাবে না। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। পাবলিক প্রসিকিউটরগণ (পিপি) বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার তথ্য বিবরণী, নিষ্পত্তি ও অগ্রগতির প্রতিবেদন নিয়মিত দাখিল করবেন। তিনি আরও বলেন, খুন, ছিনতাই, দস্যুতা, ইভটিজিং, রাহাজানি, অপহরণ ও অন্য অপরাধ কর্মকা- নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর থাকতে হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকগণকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সীমান্তবর্তী জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চোরাচালান নিরোধ কমিটির অনুষ্ঠিত সভা ফলপ্রসূ হওয়ার বিষয়ে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সার্কিট হাউসের গুরুত্বপূর্ণ সভাগুলোতে আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, বিভাগীয় পরিচালক (স্থানীয় সরকার) দীপক চক্রবর্তী, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আমিরুল ইসলাম সিকদার, ডিজিএফআইর চট্টগ্রাম শাখার কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ ভূইয়া, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোঃ নুরুল আলম নিজামী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামসুদ্দোহা, চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্ল্যানিং), মোঃ জাফর আলম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামাল মোহাম্মদ রাশেদ, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আশরাফুল আফসার, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাইনুল হাসান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী, সিএমপির ডিসি-ডিবি (বন্দর) এসএম মোস্তাইন হোসেন, কাস্টম কমিশনার কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার নওরোজ হাসান তালুকদার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমান পাটোয়ারী প্রমুখ।
×