ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন

গণহত্যার বিশ্ব স্বীকৃতি দাবি

প্রকাশিত: ০৯:০৭, ২৭ মার্চ ২০১৯

গণহত্যার বিশ্ব স্বীকৃতি দাবি

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ২৫ মার্চ কালরাতের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়েছে স্বাধীনতা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করে। এতে বক্তারা সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার শপথ নেন। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় মঙ্গলবার চট্টগ্রামে উদ্যাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস। ভোরের আলো ছড়িয়ে পড়তেই ফুলে ফুলে ভরে যায় নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অঙ্গ সংগঠন এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। শুরুতে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানান সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম, বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, সিএমপি কমিশনার মোঃ মাহবুবর রহমান, জেলা প্রশাসক মোঃ ইলিয়াস হোসেন, চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ। এছাড়া সাবেক মন্ত্রী আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, ডাঃ আফসারুল আমিন এমপিসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। অপরদিকে, দিবসটি পালনের জন্য সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সজ্জিত করা হয় আলোকসজ্জা। সকাল ৮টায় এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান। দিবসটি উপলক্ষে দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধিত করা হয়। এদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিস্তারিত কর্মসূচীর মাধ্যমে উদ্যাপন করা হয় মহান স্বাধীনতা দিবস। খুলনা শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ, ৩১ বার তোপধ্বনি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র‌্যালিসহ নানা কর্মসূচী আয়োজনের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মঙ্গলবার খুলনায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সকাল আটটায় খুলনা জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে একইস্থানে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী হয়। দিনের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে এবং সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, খুলনা প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘অদম্য বাংলা’য় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘দুর্বার বাংলা’র পাদদেশে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। বেলা ১১টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান প্রমুখ। রাজশাহী স্মরণ ও একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবির মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্মরণ করা হয় জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। মঙ্গলবার সকালে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে তাদের শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় র‌্যালি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় কুচকাওয়াজ। নগরের কুমারপাড়া দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। মিছিলে জাতীয় পতাকা, লাল-সবুজ বেলুন হাতে নিয়ে অংশ নেন দলের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও নগরের লক্ষ্মীপুর মোড় থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। এর আগে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে স্বাধীনতা চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এদিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় কুচকাওয়াজ ও কসরত প্রদর্শনী। কুচকাওয়াজে সালাম ও অভিবাদন গ্রহণ করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নুর-উর-রহমান। সিলেট যথাযোগ্য মর্যাদায় সিলেটে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান মালায় ছিল শহীদ মিনার পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনাসভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, সঙ্গীতানুষ্ঠান ইত্যাদি। দিবসের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনে শহীদ মিনারে ঢল নামে সর্বস্তরের মানুষের। শহীদ মিনারে আসা মানুষের মুখে ছিল যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়। প্রথমে শহীদ মিনার বাস্তবায়ন পরিষদ নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ও মহানগর ইউনিটের নেতৃবৃন্দ। পরে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ, সিলেট জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ প্রশাসন, সিলেট শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান, আর আর এফ কমান্ড্যান্ট, আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ, আনসার ভিডিপি, বন কর্মকর্তা, সিলেট চেম্বার অব কমার্স, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, জেলা ও মহানগর বিএনপি, যুবলীগ জেলা ও মহানগর, ছাত্রলীগ, জেলা ও মহানগর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জেলা ও মহানগর ছাত্রদল, জাসদ, বাসদ, গণতন্ত্রী পার্টি, জনতা পার্টি, মহিলা আওয়ামী লীগ, জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। বরিশাল মঙ্গলবার প্রত্যুষে পুলিশ লাইন্সে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। এরপর নগরীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকাল আটটায় বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিবাদন গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনার রামচন্দ্র দাস। এরপর ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও এর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে প্রদর্শনী করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও দিনভর ব্যাপক কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাহান আরা বেগম, সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস, জেলা বিএনপি সভাপতি এবায়েদুল হক চাঁন, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন। ময়মনসিংহ গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের অঙ্গীকার নিয়ে ময়মনসিংহে উদ্যাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নগরীর পাটগুদাম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনি ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় ময়মনসিংহের মরহুম রফিক উদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় শিশু কিশোরদের কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন। এতে ১২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এ সময় সাবেক ধর্মমন্ত্রী আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, ময়মনসিংহ বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিরঞ্জন দেবনাথ, রেঞ্জ ডিআইজি-ময়মনসিংহ নিবাস চন্দ্র মাঝি, জেলা প্রশাসক ড. সুভাস চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেনসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ইকরামুল হক টিটু, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মুন্সীগঞ্জ মুন্সীগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে শহরের পুরনো কাচারির শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম খচিত স্তম্ভে শুভেচ্ছার মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। স্মৃতিস্তম্ভে প্রশাসন ছাড়াও শ্রদ্ধা জানায় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসসহ মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সংগঠন। পরে স্টেডিয়ামে ডিসপ্লে ও কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম (বার)। এরপরই মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, ক্রীড়া, সাঁতার প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আলোচনাসভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচী পালিত হয়। বগুড়া ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনার পর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সকল সরকারী, বেসরকারী অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়। এরপর বগুড়া নগরীর মুক্তির ফুলবাড়ি ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে সর্বস্তরের মানুষ। সকাল ৭টায় শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ভিডিও কনফারন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে একযোগে শুদ্ধসুরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। সকাল ৮টায় শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে শিশু কিশোরদর সমাবেশ কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয়। এরপর জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিশুদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা হয়। যশোর বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যশোর আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শহরের মনিহার এলাকায় বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন দিয়ে শুরু হয় দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা। পরে স্টেডিয়ামে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। দিনের প্রথম প্রহরে বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল, পুলিশ সুপার মঈনুল হক, যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা একেএম খয়রাত হোসেনের নেতৃত্বে বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। পরে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়া যশোর জেলা বিএনপি, জেলা জাসদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি, যশোর পৌরসভা, উদীচী, সুরবিতান, চাঁদেরহাট, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। ঠাকুরগাঁও মঙ্গলবার সকাল ৮টায় স্থানীয় বড় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম ও পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান। পরে এখানে পুলিশ, আনসার ভিডিপি, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন করে। এর আগে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু“ হয়। পরে স্থানীয় কেন্দ্রীয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ ‘অপরাজেয় ৭১’ এর শহীদ বেদিতে এবং ঠাকুরগাঁওয়ের প্রথম শহীদ মোহাম্মদ আলী, শহীদ নরেশ চৌহান-এর কবরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, সিপিবি, ছাত্র ইউনিয়ন, উদীচীসহ জেলার সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষে দলে দলে মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এদিকে জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনসমূহ ঠাকুরগাঁওয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে না গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে জেলার প্রথম শহীদ মোহাম্মদ আলীর কবর ও প্রেসক্লাব চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলকে পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। নীলফামারী বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে মঙ্গলবার ৪৯তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস জেলাজুড়ে নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা করা হয়। এরপর স্থানীয় স্বাধীনতা অম্লান স্মৃতিতে শহীদদের সম্মানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। রাষ্ট্রের পক্ষে প্রথমে জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এদিকে সকাল আটটায় নীলফামারী হাই স্কুল মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। নয়টায় দিকে একই স্থানে মহান স্বাধীনতা দিবসের সমাবেশ ও কুচকাওয়াচ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শারীরিক কসরত প্রদর্শন করা হয়। বাগেরহাট শহরের দশানীর স্বাধীনতার শহীদ বেদিতে জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক করা অর্পণ করা হয়। পরে পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিভিল সার্জন, প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, পি.সি. কলেজ, এলজিইডি, সচেতন নাগরিক কমিটি, বিএমএ, চেম্বারসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দফতর, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তি শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন এমপি, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়সহ উর্ধতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে বাগেরহাট স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ, বিভিন্ন প্রকার শরীর চর্চা ও মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে এবং মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। সিরাজগঞ্জ মঙ্গলবার ভোর ৬টা ১ মিনিটে সিরাজগঞ্জে নির্মাণাধীন শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ সৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে প্রথমে জেলা প্রশাসক পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রেসক্লাব, স্বাচিপসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এক এক করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল আটটায় শহীদ শামছুদ্দিন স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা। গাইবান্ধা কর্মসূচীর মধ্যে ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিজয়স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচীর সূচনা, গাইবান্ধা শাহ আবদুল হামিদ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত, হাসপাতাল, জেলখানা ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, প্রীতি ফুটবল, মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্য চলচিত্র প্রদর্শন এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা। টাঙ্গাইল মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। পরে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এমপি ছানোয়ার হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাবেক এমপি মনোয়ারা বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোশারফ হোসেন খান, টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কামান্ডার জহিরুল হক ডিপটি প্রমুখ। কিশোরগঞ্জ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কিশোরগঞ্জে মঙ্গলবার নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। সকালে গুরুদয়াল সরকারী কলেজ চত্বরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে। পরে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মোঃ মাশরুকুর রহমান খালেদ পতাকা উত্তোলন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। দুপুরে সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। নাটোর মঙ্গলবার সকালে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সিংড়ায় কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পরে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় নীরবতা পালন করা হয়। অপরদিকে মঙ্গলবার প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে নাটোরে দিবসটির সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড়ে স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ৮টায় শঙ্কর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ ও পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন। নওগাঁ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট, জেলা পরিষদ, নওগাঁ সদর হাসপাতাল, সিভিল সার্জন, এলজিইডি, নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব, একুশে পরিষদ, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল সাড়ে ৯টায় নওগাঁ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কুচকাওয়াজ ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন পিপিএম আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সম্মিলিত কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন। বেলা ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগ শহরে শোভাযাত্রা বের করে। ঝালকাঠি মঙ্গলবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ হামিদুল হক। পরে পুলিশ সুপার জুবায়দুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে। সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসক মোঃ হামিদুল হক ও পুলিশ সুপার জুবায়দুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানীয় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন। হবিগঞ্জ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং ডিসি মাহমুদুল কবীর মুরাদ ও এসপি মোহাম্মদ উল্লা’র তত্ত্ব¡াবধানে জালাল স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ছাড়াও বিকেজিসি সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের ভূমিকা নিয়ে নানা আকর্ষণীয় ডিসপ্লে উৎসুক জনতার দৃষ্টি কাড়ে। এছাড়াও জেলা প্রশাসন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা ও আলোচনা সভা, হাসপাতাল-কারাগার, এতিমখানায় উন্নতমানের খাদ্য বিতরণসহ আলাদাভাবে বিভিন্ন স্কুলে অনুষ্ঠিত হয় নানা কর্মসূচী। তার আগে ’৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিরীহ বাঙালীদের ওপর পাকিস্তানী বাহিনীর গণহত্যা চালানোর প্রতিবাদ ও এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়ার দাবিতে শহরের দুর্জয় স্মৃতি সৌধে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিট ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচী পালন করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মঙ্গলবার শহরের ফারুকী পার্কে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। পরে স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদদৌলা খান, পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। এছাড়াও দিবসটি পালনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। শেরপুর মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদমুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়ার দীপ্ত শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেরপুরে ৪৮তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনি শেষে শুরু হয় শহরের মাধবপুর এলাকায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ। ওইসময় প্রথমে হুইপ আতিউর রহমান আতিক এবং পর্যায়ক্রমে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম-সেবা, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জেলা ও সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট, শেরপুর সরকারী কলেজ, সরকারী মহিলা কলেজ, শেরপুর প্রেসক্লাব, জেলা উদীচী, সাংবাদিক বিপ্লবী রবি নিয়োগী সভাকক্ষ পরিচালনা পর্ষদ, মহিলা পরিষদ, জুয়েলার্স সমিতি, ডায়াবেটিক সমিতি, পাতাবাহার খেলাঘর আসরসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে ৩০ লাখ শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে মানুষের ঢল নামে। এরপর সকাল ৮টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ মঙ্গলবার নগরীর প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া গোল চত্ব¡রে নির্মিত বিজয়স্তম্ভে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ ফুল দিয়ে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ভোর ৬টায় প্রথমে বিজয়স্তম্ভে জেলা প্রশাসন রাব্বি মিয়া ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি আবদুল হাই ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এহতেশামুল হক ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ উপলক্ষে ফতুল্লার ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন এবং স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের ডিসপ্লে পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। মৌলভীবাজার পুষ্পস্তবক অর্পণ, বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, শিক্ষার্থীদের শারীরিক কসরত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে মৌলভীবাজারে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলাম, পুলিশ সুপার শাহজালাল, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমানসহ বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পেশাজীবী ও সর্বস্তরের জনতা। নরসিংদী দিবসটি পালন উপলক্ষে প্রত্যুষে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন, মোছলেউদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন। এ সময় পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদসহ জেলা-উপজেলার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। নেত্রকোনা প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এমপি, হাবিবা রহমান খান শেফালী এমপি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, উদীচীসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেলা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সকাল ৮টায় স্থানীয় স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা ও ডিসপ্লে। বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাবলিক হলে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এমপি। জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ঃ হাবিবা রহমান খান শেফালী এমপি, পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা শামছুজ্জোহা, নূরুল আমিন, জহিরুল হক হীরা, আইয়ুব আলী, আব্দুল মতিন, মোজাম্মেল হক বাচ্চু প্রমুখ। জয়পুরহাট শহীদ ডাঃ আবুল কাসেম ময়দানের স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য দেয় যথাক্রমে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, বাসদ, প্রেসক্লাব, অগ্রনী ব্যাংক অফিসার্স ও কর্মচারী ইউনিয়ন, সোনালী ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়ন, জয়পুরহাট পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কমিউনিস্ট পার্টি, মহিলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন। শিশু একাডেমি শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। পৌর কমিউনিটি সেন্টারে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। দিনাজপুর দিবসটি পালন উপলক্ষে সকালে র‌্যালি বের করে জেলা আওয়ামী লীগ। পরে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এ সময় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. জাকিয়া তাবাসসুম জুঁই, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম, দিনাজপুর পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম, সাবেক এমপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দিনাজপুর প্রেসক্লাব, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ দিবসটি উপলক্ষে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানায়। দুপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। এদিকে দিনব্যাপী দিনাজপুর গোড়-এ শহীদ ময়দানে ডিসপ্লেতে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। পাবনা ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা করা হয়। এরপর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ দুর্জয় পাবনায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, গণশিল্পী সংস্থা, উদীচী শিল্প গোষ্ঠী, এ্যাডওয়ার্ড কলেজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, পাবনা মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ স্মরণে দুর্জয় পাবনায় পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। সকাল ৮টায় পাবনা স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন ও পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম। ঝিনাইদহ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ঝিনাইদহ সদর থানা চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হয়। সকালে বিভিন্ন সংগঠন র‌্যালি করে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের প্রেরণা একাত্তর চত্বরে গিয়ে জড়ো হয়। সেখানে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামানসহ মুক্তিযোদ্ধা, প্রেসক্লাব, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। পরে শহরের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুড়িগ্রাম দিবসটি উপলক্ষে ৩১ বার তোপধ্বনির পর সকাল ছয়টায় স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক, পেশাজীবী ও রাজনৈতিক সংগঠন। এরপর সারাদেশের ন্যায় জেলা স্টেডিয়াম মাঠে সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে একযোগে শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। প্যারেড পরিদর্শন শেষে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোছাঃ সুলতানা পারভীন ও পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম। একাডেমিতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান, ক্রীড়া ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা দিবসটি উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস ও পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশুরা ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ফেনী ২৫ মার্চ কালরাতে পিলখানায় পাক হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেনী পুলিশ সুপার অফিসের সামনে রাত ১২টা ১ মিনিটে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়েছে জেলা পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকারসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ। ভোরে ফেনী জেল রোডের স্মৃস্তিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রসাশন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টি, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটি, ডায়াবেটিক সমিতি, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। রাঙ্গামাটি মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। সূচনা পর্বে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে জেলা প্রশাসক একেএম মমিুনুর রশিদ এরপর পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবির, মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। পরে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপির নেতৃত্বে তার অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সেখানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচানা সভা করা হয়েছে। এরপর পর বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। মাগুরা দিবসটি পালন উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টায় শহরের নোমানী ময়দানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ , আওয়ামী লীগ , বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সরকারী দফতর , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলা আইনজীবী সমিতি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় । লক্ষ্মীপুর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কর্মসূচীর সূচনা করা হয়। সকাল ৮টায় জেলা স্টেডিয়ামের মাঠে জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠনের কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা করা হয়। পরে পুলিশ, বিএনসিসিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমম্বয়ে ৩৪টি দল দৃষ্টিনন্দন শরীরচর্চা প্রদর্শনী ও ডিসপ্লে প্রদর্শন ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী পালন করা হয়। এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জামালপুর মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচী আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান মঙ্গলবার ভোর ৬টায় সরিষাবাড়ী উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এদিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জামালপুর শহরের দয়াময়ীপাড়ায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মোঃ মোজাফফর হোসেন ও জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরসহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা বিএনপিসহ মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ৮টায় জামালপুর জিলা স্কুল মাঠে জেলা প্রশাসন আয়োজিত কুচকাওয়াজ প্রদর্শনীর আগে একযোগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এছাড়া চরফ্যাশন, রূপগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, কালকিনি, গফরগাঁও, আমতলী, মির্জাপুর, লাকসাম, বেলকুচি, নান্দাইল, সৈয়দপুর, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুরূপ কর্মসূচী পালন করা হয়।
×