ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:০২, ২৭ মার্চ ২০১৯

স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দেশের জন্মদিনে মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে সরগরম ছিল বঙ্গভবনের সবুজ প্রাঙ্গণ। ব্যান্ডের সুরের মূর্ছনা, খ্যাতনামা শিল্পীদের গানসহ নানা আয়োজনে সরকার প্রধান থেকে শুরু করে বিভিন্ন দলের রাজনীতিক, কূটনীতিক, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার এবং শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গভবনে স্বাধীনতার ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপন করলেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ; সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল চারটা ৪০ মিনিটে বঙ্গভবনের চত্বরে আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই স্ত্রী রাশিদা খানমকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গভবনের মাঠে আসেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি সস্ত্রীক মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কুশল বিনিময় করেন। পরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তারা। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেয়ার পাশাপাশি তাদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান। এরপর বঙ্গভবনের মাঠে ভিভিআইপি এনক্লোজারে স্বাধীনতা দিবসের কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ উপলক্ষে জাতীয় পতাকার আদলে লাল-সবুজ রংয়ের বেলুন অবমুক্ত করা হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিদেশী অতিথি, সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, গণমাধ্যমের সম্পাদক, তিন বাহিনীর প্রধানসহ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তারা। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া এবং জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ সংবর্ধনায় যোগ দেন। একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ এবং বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্তদের পরিবারের সদস্যরাও স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ সংবর্ধনায় যোগ দেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিবৃন্দ, জাতীয় সংসদ সদস্যগণ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীগণ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ, সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা সংবর্ধনায় যোগদান করেন। পরে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং দেশের প্রখ্যাত শিল্পীরা সেখানে দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন করেন। রাষ্ট্রপতির বাসভবনের উত্তরপাশের সবুজ চত্বরে আমন্ত্রিত অতিথিদের নাশতা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। রাষ্ট্রপতির এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব শ্রেণী-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে বঙ্গভবন রীতিমত মিলনমেলায় রূপ নিয়েছিল।
×