অনলাইন ডেস্ক ॥ ২০১৮ সালের শুরুতে বিরল নিউরো এন্ড্রোক্রাইন টিউমারে আক্রান্ত হন ইরফান খান। এরপর চলে যান অন্তরালে। দীর্ঘদিন লন্ডনে চিকিৎসা নেন তিনি।
সম্প্রতি কিছুটা সুস্থ হয়ে মুম্বাই ফিরেছেন ইরফান। শুরু করেছেন ‘হিন্দি মিডিয়াম’ সিনেমার সিক্যুয়েল ‘আংরেজি মিডিয়াম’-এর শুটিং।
ই কঠিন লড়াইয়ে সবসময় পাশে ছিলেন ইরফানের বাঙালি স্ত্রী সুতপা শিকদার। পুরো সময়টাকে জীবনের সবচেয়ে লম্বা বছর বলেন বর্ণনা করেছেন তিনি।
ইরফানকে যোদ্ধা উল্লেখ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি পোস্ট করেছেন সুতপা। পাশাপাশি ধন্যবাদ জানান শুভাকাঙ্ক্ষীদের।
তিনি লিখেছেন, ‘এই বছরটা আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় বছর। যন্ত্রণা, আশা এই সমস্ত কিছু দিয়ে সময়কে কখনোই পরিমাপ করা যায় না। আত্মীয়-বন্ধুদের প্রার্থনা আবারও নতুন করে জীবন শুরু করার সুযোগ পেয়েছি। এটা যেন অবিশ্বাস্য।’
‘আমি অনিশ্চিত শব্দটা অর্থ খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছি। আমি এটা অনুভব করেছি মানুষ ওর জন্য হৃদয় দিয়ে প্রার্থনা করেছেন। আমি হয়তো তাদের নাম বলতে পারব না, কারণ, এ ক্ষেত্রে এমন বহু মানুষ আছে তাদের নামও আমি জানি না। প্রত্যেকের নাম ধরে ধরে ধন্যবাদ না জানাতে পারার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আজ আবারও আগেই মতোই সবকিছু ঠিকঠাক। আমরা আবারও কাজে ফিরতে পেরেছি। প্রার্থনায় বিশ্বাস রাখার জন্যও ধন্যবাদ সকলকে।’
এর আগে এক টুইটে সুতপা শিকদার বলেছিলেন, ‘আমার প্রিয় বন্ধু এবং জীবনসঙ্গী একজন যোদ্ধা। যিনি জীবনের সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে সুন্দরভাবে সাহসের সঙ্গে পার করে এসেছেন। আমি এত দিন আপনাদের কোনো ফোন কল ও মেসেজের উত্তর না দিতে পারার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে আপনাদের সকলের কাছে আমার বিনম্র অনুরোধ, সকলে ওর মঙ্গল কামনা করুন।’
সুতপা সিনেমা প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত। লিখেছেন অনেক ছবির সংলাপ। ১৯৯৬ সালে নানা পাটেকর-মণীষা কৈরালা অভিনীত ‘খামোশি’র সংলাপ লিখেছিলেন। তালিকায় আরও আছে সুপারি, শব্দ ও কাহানির মতো আলোচিত সিনেমা। ২০১৬ সালে প্রযোজনা করেন ইরফান অভিনীত চলচিত্র ‘মাদারি’।