ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিচিত্র খবর ॥ সাপ নেই যে দেশে

প্রকাশিত: ১০:১০, ১২ এপ্রিল ২০১৯

বিচিত্র খবর ॥ সাপ নেই যে দেশে

অধিবাসীর সংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষ। অথচ সাপ নেই একটাও। সরীসৃপ বলতে শুধু টিকটিকি। আয়ারল্যান্ডে এমনই পরিস্থিতি বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। কিন্তু কেন জানেন? উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত আয়ারল্যান্ড আসলে একটি দ্বীপ। মান সাগর দ্বারা গ্রেট ব্রিটেন থেকে বিচ্ছিন্ন। সেখানে কোথাও সাপ নেই। নিউজিল্যান্ড, গ্রীনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, এন্টার্কটিকাতেও সাপ দেখা মেলে না। তবে আয়ারল্যান্ডে সাপ না থাকার উল্লেখ রয়েছে খ্রিস্টধর্মের উপকথাতেও। সেখানে বলা আছে, আনুমানিক ৫ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট প্যাট্রিক খ্রিস্টধর্মের প্রচারে আয়ারল্যান্ড পৌঁছান। চল্লিশ দিনের জন্য উপবাসী তপস্যা করতে একটি পাহাড়ে উঠতে শুরু করলে সাপের কবলে পড়েন তিনি। তার পরই আয়ারল্যান্ড থেকে সব সাপ বিদায় করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যেখানে যত সাপ ছিল তাদের তাড়া করে একটি শৈলচূড়ার ওপর থেকে সমুদ্রে ফেলে দেন। তার পর থেকে আয়ারল্যান্ডে আর কখনও সাপ ঢোকেনি। কিন্তু এই কাহিনি মানতে নারাজ বিজ্ঞানীরা। তাদের কথায়, আয়ারল্যান্ডে কোনকালেই সাপ ছিল না। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রায় ১০ হাজার বছর আগে তুষারযুগে বরফে ঢাকা ছিল আয়ারল্যান্ড। সাপ ঠাণ্ঠা রক্তের প্রাণী হলেও, রক্তে হিমোগ্লোবিনের প্রয়োজনীয় মাত্রা বজায় রাখতে চারপাশের বস্তু থেকে তাপ গ্রহণ করতে হয় তাদের। বরফের চাদরে মোড়া আয়ারল্যান্ডে তা সম্ভব ছিল না। তুষারযুগের পর হিমবাহ গলতে শুর করলে, মানসাগর দ্বারা ব্রিটেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। সেই সময় ব্রিটেনকে বাসস্থান হিসেবে বেছে নেয় কয়েক প্রজাতির সাপ। তবে স্বভাবে কুঁড়ে হওয়ায় ব্রিটেন থেকে সাঁতরে আয়ারল্যান্ডে আসার সাহস দেখায়নি তারা। ভাঁজ করা যাবে বাড়ি জমির দামের সঙ্গে ইট, বালি, সিমেন্টের দামও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখাতে পারে ‘ফোল্ডিং বাড়ি’! ৩০০ থেকে ৩৫০ বর্গফুটের ছোট এক টুকরো জমিতে মাত্র ৬ ঘণ্টায় বানিয়ে ফেলা যায় এই বাড়ি। বাড়ির নক্সা বা ডিজাইনও হবে আপনার পছন্দ মতো। এই ধরনের ‘ফোল্ডিং বাড়ি’র পরিকল্পনা ইতালিয়ান স্থপতি (আর্কিটেক্ট) রেনাটো ভিদালের মস্তিষ্কপ্রসূত। রেনাটো দুই রকম মাপের বাড়ির নক্সা বা ডিজাইন তৈরি করেছেন। ছোটটির জন্য ২৯০ বর্গফুটের জায়গা আর বাড়িটি তৈরির জন্য ৯০৪ বর্গফুটের জায়গা প্রয়োজন। তবে দুই রকমের বাড়ির উচ্চতা সর্বোচ্চ ২১ ফুট। কংক্রিটের কোন রকম অবলম্বন বা সাপোর্ট ছাড়াই তৈরি করা যায় এই বাড়ি। এই বাড়ির প্রধান উপাদান স্টিল ফ্রেম, পলিইউরেথিন ফোম আর রক উল। ভূমিকম্প প্রতিরোধ করার সমস্ত রকম ব্যবস্থা রয়েছে রেনাটো ভিদালের এই ‘ফোল্ডিং বাড়ি’তে। শুধু তাই নয়, এটি সম্পূর্ণ ‘ওয়াটারপ্রুফ’। বাথরুম, মডিউল কিচেন, ডাইনিং, শোবার ঘর, সিঁড়ি, স্টোরেজ আর পাঁচটা সাধারণ বাড়ির মতো সব কিছুই রয়েছে এই ‘ফোল্ডিং বাড়ি’তে। সাতসতেরো প্রতিবেদক
×