ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাফিকে হারানোর বেদনা তাড়া দিচ্ছে বিশ্ববাসীকে

প্রকাশিত: ০১:৫৯, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

রাফিকে হারানোর বেদনা তাড়া দিচ্ছে বিশ্ববাসীকে

অনলাইন রিপোর্টার ॥ পূবের আকাশে নতুন সূর্যের মিষ্টি হাসি। অম্রকুঁড়িরা গন্ধ ছড়াচ্ছে কাননে কাননে। লাল-সাদা পোশাকে সয়লাব রাজধানী। নতুন বছরকে বরণ করতে ডাক, ঢোল, নৃত্য, গান সবই হচ্ছে। তবুও শূন্যতা, কোথাও যেন হারানোর বেদনা তাড়া দিচ্ছে নগরবাসীকে। যে বেদনা নুসরাত জাহান রাফিকে হারানোর। প্রতিবাদী নুসরাত হার মানেননি বর্তমান সমাজে বেঁচে থাকা কতিপয় হিংস্র পুরুষের লালসার কাছে। জীবনের বিনিময়ে নিজের সম্ভ্রমকে রক্ষা করেছেন। অন্যায় অসভ্যতার কাছে মাথা নত না করার বার্তা দিয়ে গেছেন জাতিকে। নারীদের পথ দেখিয়েছেন মাথা উঁচু করে চিৎকার করে প্রতিবাদ করার। তাইতো শোকাতুর জাতি শপথ নিচ্ছে নতুন করে। অনন্ত আকাশে মস্তক তুলে দাঁড়াবে নারী এমনই প্রত্যাশা সবার। আজ রবিবার সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের ঢল। মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে এ সমাগম। পুরনো দিনের সব দুঃখ, বেদনা, হতাশা, গ্লানিকে মুছে ফেলে আজ থেকে নতুন করে পথ চলার শপথ নিয়েছে বাঙালি জাতি। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়- ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা।’ কথা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রায় আগত বেশ কয়েকজন দর্শনার্থীর সঙ্গে। বেশির ভাগই বলেন- আজ থেকে শুরু হোক আমাদের শুদ্ধতার পথে চলার, অসভ্যতাকে বিদায় দিয়ে শুভ্রতার পথে হাঁটার। যে পথে জীবন দিতে হবে না কোন নুসরাতকে। নারী-পুরুষ সবাই আমরা একে অপরের রক্ষা কবচ হব। লালসার আগুনে প্রয়োজনে পুড়ে ছাঁই হব; তবুও অন্যায়কে প্রশ্রয় নয়- শপথ তারুণ্যের। নববর্ষের প্রত্যাশার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর মুগদা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে আসা গৃহবধু আসমা আক্তার বলেন, ‘আমরা এমন একটি সমাজ চাই যেখানে নারী-পুরুষ সবাই একে অপরের রক্ষাকবচ হব। আজ থেকে আমাদের শপথ নিতে হবে- আর যেন কোনো নুসরাতকে কোনো ঘাতকের লালসার কাছে জীবন দিতে না হয়।’
×