ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিজিএমইএ ভবন থেকে মালামাল সরাতে সময় দেওয়া হল ২ ঘণ্টা

প্রকাশিত: ২৩:৩৭, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

বিজিএমইএ ভবন থেকে মালামাল সরাতে সময় দেওয়া হল ২ ঘণ্টা

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাজধানীর হাতিরঝিলে অবৈধভাবে নির্মিত তৈরি পোশাক মালিক ও রফতানিকারক সমিতির প্রধান কার্যালয় বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। এরইমধ্যে ভবন থেকে মালামাল সরাতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভবনটি ভাঙার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দীর্ঘ আইনি জটিলতার অবসান শেষে উচ্চ আদালতের নতুন করে সময় বৃদ্ধির কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় বিজিএমইএ ভবনটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ভবনটি ভাঙতে বিজিএমইএকে দেওয়া সময় পার হয়ে যাওয়ার পরই ভবনটি ভাঙার কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে। অন্যদিকে ভবনটি থেকে সব মালামাল সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের দুই ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয় রাজউকের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে রাজউকের পরিচালক প্রশাসন খন্দকার ওলিউর রহমান বলেন, ভবনে অফিস অপসারণের কাজ চলছে। বারবার সময় দেওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন অজুহাতে তারা এখানে রয়েছে। আমরা দুই ঘণ্টা সময় দিয়েছি মালামাল সরিয়ে নিতে। এরপর আমরা গ্যাস, বিদ্যুৎসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় সেবা বন্ধ করে দেবো। তারপর ভবন ভাঙার কাজে হাত দেবো। তবে কি প্রক্রিয়ায় ভাঙা হবে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি এ কর্মকর্তা। রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সালের একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওইদিনই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনিরউদ্দিন প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনেন। পরদিন হাইকোর্ট বিজিএমইএ ভবন কেনো ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। একাধিকবার সময় নিয়েও আদালতের নির্দেশে বিজিএমইএ ব্যর্থ হলে ভবন করার ক্ষেত্রে জায়গা না পাওয়ার অজুহাত দেখায়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৫০ শতাংশ কমমূল্যে উত্তরার ১৭ নং সেক্টরে ১১০ কাঠা জমি দেওয়া হয়। সে জমির উপরই তৈরি হচ্ছে ১৩তলা বিজিএমইএ ভবন (পঞ্চম তলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে)। যা গত ৩ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
×