ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আমবাগান নজরদারিতে থাকবে পুলিশসহ ম্যাজিস্ট্রেট

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

আমবাগান নজরদারিতে থাকবে পুলিশসহ ম্যাজিস্ট্রেট

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাজশাহীসহ দেশের বড় আমবাগানে কেমিক্যালের ব্যবহাররোধে সাত দিনের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তদারকি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে করা আবেদন প্রত্যাহারের আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ৯ এপ্রিল আইনজীবী মনজিল মোরসেদের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দিয়েছিলেন। পরে ১৫ এপ্রিল মনজিল মোরসেদ জানান, রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের নির্দেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে। এ আবেদনের শুনানির জন্য সময় চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মঙ্গলবার শুনানির জন্য দিন রেখেছেন। মঙ্গলবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে বলেন, রাজশাহীসহ দেশের বড় আমবাগানগুলোতে যেন কেউ ক্ষতিকারক কেমিক্যাল প্রয়োগ করে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ওখানে টহল দেবেন। আমরা দেখেছি হাইকোর্টের আদেশ আইনের সঙ্গে সম্পূরক এবং জনগণের স্বাস্থ্য সেবার জন্য অত্যন্ত সহায়ক। এ কারণে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে যে আবেদন করেছি তা প্রত্যাহার করেছি। তিনি বলেন, এখন রাজশাহীর কমিশনারকে বলবো- আমবাগানে মনিটরের জন্য যেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ সাত দিনের মধ্যে নিয়োগ করেন। ৯ এপ্রিলের আদেশে একটি পর্যবেক্ষণ টিম ফলের বাজার ও গুদামে মনিটর করবে যাতে সারাদেশে কেউ কেমিক্যাল ব্যবহার করে আম পাকাতে না পারে। পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএসটিআই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআই’র পরিচালক (কেমিক্যাল টেস্টিং উইং) এ আদেশ বাস্তবায়ন করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। আবেদনের বিবাদীরা হচ্ছেন- শিল্প সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, খাদ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএসটিআই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআই’র পরিচালক (কেমিক্যাল টেস্টিং উইং), রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এবং এনবিআর চেয়ারম্যান। ওইদিন মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, এক আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আমবাগানের বিষয়ে সাত দফা নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্ট রায় দেন। কিন্তু হঠাৎ করে আমরা দেখছি গতবছরের কেমিক্যাল ব্যবহারের প্রবণতা। এ কারণে আবেদন করেছি নির্দেশনাটা ফের দেওয়ার জন্য।
×