ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে ফের বড় দরপতন

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

শেয়ারবাজারে  ফের বড় দরপতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আবারো বড় পতনে শেষে হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেন। চলতি বছরের শুরু থেকেই পতনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে শেয়ারবাজার। টানা পতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের পোর্টফলিওতে লোকসান বাড়ছেই। লোকসান কমাতে অনেকেই শেয়ার বিক্রি করতে মরিয়া হয়ে উঠছে। চলতি মাসের ১১ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ২৪৩ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭০৯ পয়েন্ট কমেছে। অন্যদিকে শেয়ারবাজারের আশঙ্কাজনক পতনের কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য বিনিয়োগকারীরাও রাস্তায় বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন। তারা শেয়ারবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে নতুন আইপিও অনুমোদন বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। এদিন ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। তবে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। তবে উভয় শেয়ারবাজারে হাত বদল হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, সকালে শুরু থেকে নেতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। একবারের জন্যও সূচক ওপরে উঠেনি। এক পর্যায়ে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮৪ পয়েন্ট কমে যায়। তবে ব্যাংক ও বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ব কোম্পানির দর বাড়ার কারণে সূচকের পতনের ব্যবধান কমতে থাকে। দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৪৮ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৬ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ২৪ পয়েন্টে কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২১২ ও ১৮৭৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৬৯ কোটি ৯১ লাখ টাকার। যা আগের দিন থেকে মাত্র ২৭ কোটি টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৯৬ কোটি টাকার। এদিন ডিএসইতে ৩৪৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৫৯টির বা ১৭ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ২৫৩টির বা ৭৪ শতাংশের এবং শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির বা ৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। ডিএসইতে টাকার পরিমাণে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে মুন্নু সিরামিকের। কোম্পানিটির ১৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে ফরচুন সুজ এবং ১০ কোটি ২৬ লাখ টাকা লেনদেনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস কোম্পানি। সার্বিক লেনদেন উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে - রেকিট বেনকিজার, স্কয়ার ফার্মার, গ্রামীণফোন, এস্কয়্যার নিট কম্পোজিট, ব্র্যাক ব্যাংক, সুহৃদ ও মুন্নু জুট স্টাফলার্স। এদিকে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৭৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। আর ব্যাংক খাতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমেছে। জানা গেছে, লেনদেনে অংশ নেয়া ব্যাংক খাতের ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১০টির বা ৩৩ শতাংশের এবং শেয়ার দর কমেছে ১৫টি বা ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টি বা ১৭ শতাংশের শেয়ার দর। শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি ২.৩০ টাকা কমেছে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১.৮০ টাকা করে কমেছে ব্যাংক এশিয়ার ও ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর ১ টাকা কমেছে। এছাড়া ইস্টার্ন ও প্রাইম ব্যাংকের ০.৪০ টাকা করে; পূবালী, ন্যাশনাল, মার্কেন্টাইল ও আইএফআইসি ব্যাংকের ০.২০ টাকা করে এবং সাউথইস্ট, শাহজালাল ইসলামী, আইসিবি ইসলামিক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ঢাকা ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর ০.১০ টাকা করে কমেছে। শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ০.৮০ টাকা বেড়েছে উত্তরা ব্যাংকের। এছাড়া ট্রাস্ট ও রূপালী ব্যাংকের ০.৪০ টাকা করে; প্রিমিয়ার ও যমুনা ব্যাংকের ০.৩০ টাকা করে; ইউনাইটেড কমার্শিয়াল, ওয়ান, ইসলামী ও এক্সিম ব্যাংকের ০.২০ টাকা করে এবং এনসিসি ব্যাংকের শেয়ার দর ০.১০ টাকা বেড়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৯৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৯৪ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩৬টির, কমেছে ১৫৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির দর। সিএসইতে আজ ১১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।##
×