ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাবিতে অধ্যাপক ড. হাবিবা খাতুন ট্রাস্ট ফান্ড লেকচার

প্রকাশিত: ০৮:৫৯, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

ঢাবিতে অধ্যাপক ড. হাবিবা খাতুন ট্রাস্ট ফান্ড লেকচার

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভগের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অধ্যাপক ড. হাবিবা খাতুন ট্রাস্ট ফান্ড লেকচার-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের স্পেশাল কনফারেন্স কক্ষে এই লেকচার অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘পলিটিক্স অব কনফ্লিক্টিং এ্যালেজিয়েন্স বেঙ্গল, ১৯৩৭-৪০ কমেন্টেরি’ শীর্ষক বক্তৃতা প্রদান করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোটের্র হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ড. সৈয়দ রিফাত আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিম। এসময় ফান্ডের দাতা বিভাগের অধ্যাপক ড. হাবিবা খাতুন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষকসহ বিভাগীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ড. সৈয়দ রিফাত আহমেদ তার লিখিত বক্তব্যে ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪০ এর মধ্যে ভারতবর্ষে চলমান সংকট ও রাজনৈতিক বিরোধগুলোর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেন। তিনি বঙ্গীয় প্রাদেশিক কনগ্রেস, মুসলীগ লীগ ও কনগ্রেসসহ তৎকালীন বিভাজনের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ১৯৪০ সালের ২৪ মার্চ শের-এ- বাংলা এ কে ফজলুল হক উত্থাপিত লাহোর প্রস্তাব মুসলিম লীগের সভায় গৃহীত হয়। সেদিন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ফজলুল হককে ভারতের সাংবিধানিক পরিকল্পনা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্তের সমাধানটাই পাকিস্তানে বিপ্লব হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছিল। ট্রাস্ট ফান্ডের দাতা অধ্যাপক ড. হাবিবা খাতুন তার বক্তব্যে বলেন, প্রতিবছরই এই ট্রাস্ট ফান্ড লেকচারের আয়োজন করা হয় এবং প্রতি বছরই বিভাগের তিনজন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার একজন বিচারপতিকে লেকচার-বক্তা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। একজন আইনজীবী যে দৃষ্টিতে ইতিহাসকে দেখেন, তা সকলের সামনে তুলে ধরার জন্যই তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বলা হয়, অন্য কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত থেকেও যে কেউ ইতিহাস নিয়ে পড়াশুনা -তথা গবেষণা করতে পারেন।
×