ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

আমরা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করি না ॥ মমতা

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

আমরা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করি না ॥ মমতা

অনলাইন ডেস্ক ॥ ভোট প্রচারে অধীর দুর্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে নির্বাচনী সভায় কংগ্রেসের সঙ্গে আরএসএসের আঁতাঁতের অভিযোগ তুললেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস এবং বিজেপি এক হয়ে ভোটে লড়ছে। ভোটের সময় টাকা নিয়ে ঘুরছে। সারা বছর তাদের দেখা যায় না। বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতিকে কাঠগড়ায় তুলে মমতার তোপ, ‘‘ওরা হিন্দু-মুসলিম ভাগাভাগি করে। কিন্তু আমরা করি না। আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান— সব সম্প্রদায়ের মানুষকে ভালবাসি। কিন্তু ধর্মকে রাস্তায় নামিয়ে আনি না। ধর্ন নিয়ে ব্যবসা করি না।’’ এ ছাড়া মুর্শিদাবাদে সিপিএম এবং কংগ্রেস এক হয়ে লড়াই করছে বলেও অভিযোগ তোলেন তৃণমূল নেতা। এ রাজ্যে এসে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বারবারই বলেছেন, অসমের মতো পশ্চিমবঙ্গেও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি চালু করবেন। কিন্তু প্রায় সব নির্বাচনী সভাতেই মমতাও তাঁর পাল্টা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, এ রাজ্যে কোনও ভাবেই এনআরসি করতে দেবেন না। রঘুনাথগঞ্জেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মমতা এ দিন বলেন, ‘‘অসমে এনরআসি-র নামে ২২ লক্ষ বাঙালিকে তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এটা আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারি না। এখানে এসেও হুমকি দিচ্ছে এনআরসি করবে। কিন্তু আমি কিছুতেই এ রাজ্যে এনআরসি করতে দেব না।’’ মমতার বক্তব্যের নির্যাস • আমরা বিভিন্ন দল মিলে সরকার গঠন করব, যে সরকার ভাঙাভাঙির চক্রান্ত করবে না • ৫৪৩টা আসনের মধ্যে ১০০ আসনও পাবে না বিজেপি • তামিলনাড়ু, কেরল, ওড়িশা, পঞ্জাবে একটিও আসন পাবে না বিজেপি • আরএসএস-এর লোকজন টাকা নিয়ে ঘুরছে, ওদের ভোটের সময় ছাড়া অন্য সময় দেখা মেলে না • আমরা পুজো করি, কিন্তু ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করি না • আমদের ধর্ম ওরা রাস্তায় বিক্রি করে • আমরা হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খৃষ্টান সবাইকে ভালবাসি • গণতন্ত্রে ভোটই সবচেয়ে বড় পরিচয় • বংলায় নাগরিকপঞ্জী করতে দেব না • বলছে বাংলায় এনআরসি করব • বাংলা ভাঙার চক্রান্ত হচ্ছে, এই চক্রান্ত একমাত্র রুখতে পারে তৃণমূল • কংগ্রেস-আরএসএস আঁতাঁত হয়েছে • অসমে ২২ লক্ষ হিন্দু ভাই-বোনদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে • আমরা নথিবদ্ধ জাতীয় পার্টি • ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই • তৃণমূলই আগামী দিনে ভারতবর্ষের সরকার গড়বে • ধর্মের নামে রাজনীতি করে বিজেপি সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×