ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রংপুরে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, আটক ৩

প্রকাশিত: ০৮:১৪, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

রংপুরে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, আটক ৩

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর ॥ রংপুর নগরীর পান্ডারদিঘি ধাপ কামারপাড়ায় এক দিনমজুরের পঞ্চম শ্রেণি পড়–য়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মিন্টু রায় (৩২) নামে ২ সন্তানের জনকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে বুধবার রাতে ধর্ষক মিন্টু, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা হারাধন রায়সহ চারজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি সালিশ বৈঠকের নামে ধামাচাপা দিয়ে সহযোগিতার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, রংপুর নগরীর ৪ নং ওয়ার্ডের ধাপকামারপাড়ার এক দিনমজুরকে একই এলাকার ঝড়– রায়ের ছেলে ২ সন্তানের জনক মিন্টু রায় গত ১৫ এপ্রিল দুপুরে জমিতে ঘাস কর্তনের জন্য শ্রমিক হিসেবে নেয়। শাহাজাহান জমিতে ঘাস কর্তন করতে থাকলে মিন্টু রায় ওই শ্রমিকরে বাড়িতে গিয়ে টিভি দেখারত অবস্থায় তার ৫ম শ্রেণি পড়–য়া মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটি চিৎকার করলে প্রতিবেশী আকতারা বানু ছুটে আসলে ধর্ষক মিন্টু রায় তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যায়। এসময় শিশুটির মা জায়েদা বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। ওসি আরও জানান, কাজ শেষে বাড়িতে এসে মেয়ে এবং প্রতিবেশির মুখে ধর্ষণের ঘটনা শুনে পুলিশের কাছে যেতে চাইলে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা মিমাংসার দায়িত্ব নিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকেন। গত বুধবার রাতে মেয়েটির মা বাদী হয়ে ধর্ষক মিন্টু রায়, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা, ধর্ষকের শ্যালক সম্ভু রায়, টেংকু রায় ও প্রতিবেশী মেহেদুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেছেন। ওসি আরোও জানান, ধর্ষণের ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে ধর্ষককে সহযোগিতার অভিযোগে ধর্ষকের শ্যালক সম্ভু রায়, টেংকু রায় ও মেহেদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধর্ষক ও কাউন্সিলরকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। মেয়েটিকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের ফরেনসিক বিভাগে তার ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর বাবা বলেন, মিন্টু তার জমিতে আমাকে ঘাস কাটার কাজে লাগিয়ে দিয়ে আমারই বাড়িতে ঢুকে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। এখন আবার আমাকেই মামলা তুলে নেয়ার জন্য কাউন্সিলর হারাধন, ধর্ষক মিন্টুর শ্যালক সম্ভু ও টেংকু রায় চাপ দিচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরাপত্বাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায় বলেন, ধর্ষণের ঘটনাটি ১৫ এপ্রিল ঘটেছে। দু’পক্ষই ১৬ এপ্রিল আমার কাছে এসেছিল মীমাংসার জন্য। তখন আমি ছেলে পক্ষকে বলেছিলাম ছেলেকে হাজির করান, তারপর মীমাংসা। কিন্তু তারা আমাকে মামলাতে জড়িয়েছে। এটি অত্যন্ত অন্যায় কাজ করেছে।
×