ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে ভিক্ষা না করার অঙ্গীকার ৫৮ ভিক্ষুকের

প্রকাশিত: ০৮:২৬, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

শেরপুরে ভিক্ষা না করার অঙ্গীকার ৫৮ ভিক্ষুকের

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুরের শ্রীবরদীতে এবার ভিক্ষা না করার অঙ্গীকার করেছেন ৫৮ ভিক্ষুক। বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীবরদী সদর ও গোশাইপুর ইউনিয়নকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘আর কখনো ভিক্ষা করব না’ হাত তুলে ওই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা। ওই দু’টি ইউনিয়নকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব। এ উপলক্ষে শ্রীবরদী সদর ইউনিয়ন পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব। বক্তব্য রাখেন এসিল্যান্ড মঞ্জুরুল আহসান, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রকিবুল হাসান প্রমুখ। পরে ৫৮ জন ভিক্ষুককে পূনর্বাসন সহায়তা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০ ভিক্ষুককে ১০টি ভ্যান গাড়ি, ২ জনকে সেলাই মেশিন, ৪ জনকে ওজন মাপার মেশিন, ৩৮ জনকে ১০ হাজার করে ঋণ সহায়তা, ৫৮ জন সবাইকে ন্যাযমূল্যের কার্ড, ১জনকে টং দোকান ও ১০ হাজার টাকা ঋণ, ৮ জনকে বিধবা-বয়স্ক ও একজনকে প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়া হয়। ভ্যান গাড়ি, ন্যাযমূল্যের কার্ড ও বয়স্ক ভাতা পেয়ে দারুণ খুশি গোশাইপুর ইউনিয়নের বৃদ্ধা ভিক্ষুক আজিরন (৭০) বলেন, ‘৩৩ বছর ভিক্ষা কইরা খাই। মানুষের দূর দূর, ছাই ছাই হুনতে হুনতে আর ভাল লাগে না। অহন থেইকা ভ্যান গাড়ি ভাড়া দিমু। তাতে দৈনিক দুই-আড়াইশ টাকা পামু। ডিসি সাব কার্ড দিল ১০ টাকা কেজি চাল পামু। আবার বয়স্ক ভাতা পামু ৫০০ ট্যাহা। আর ভিক্ষা করমু না।’ জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, চলতি বছর জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। এজন্য প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা মনিটরিং করবে। যাদের পুনর্বাসন করা করা হচ্ছে তাদেরকে পর্যায়ক্রমে আরও সুবিধা দেওয়া হবে। এটি কথার কথা নয়। আমরা সত্যি সত্যিই জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করব।
×