ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে হাতুড়ে চিকিৎসকের ঔষধ খেয়ে প্রসূতির গর্ভে সন্তানের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৮:২৯, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

ঠাকুরগাঁওয়ে হাতুড়ে চিকিৎসকের ঔষধ খেয়ে প্রসূতির গর্ভে সন্তানের মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ইট ভাটার শ্রমিক ফারাজুল ইসলামের স্ত্রী লাবনী আক্তার চার মাসের অন্তঃস্বত্বা ছিলেন। হটাৎ তার স্ত্রী জ্বরে আক্রান্ত হলে ফারজুল স্থানীয় হাতুড়ে চিকিৎসক পরেশ চন্দ্র রায়ের পরামর্শে তার দোকান থেকে ঔষধ নিয়ে স্ত্রীকে খাওয়ায়। সেই ঔষধ খাওয়ার কিছুক্ষণ পর তার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয়। স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করেও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে তাকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক জানায়, ফারজুলের স্ত্রীর গর্ভের সন্তান মারা গেছে। এব্যাপারে বৃহস্পতিবার ফারাজুল হাতুড়ে চিকিৎসক পরেশ চন্দ্র রায়ের শাস্তির দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের মহিষমারী কামারপাড়া গ্রামের ভাটা শ্রমিক ফারাজুল ইসলাম জানান, গত ০৯ এপ্রিল এ ঘটনা ঘটেছে এবং তার স্ত্রী লাবনী আক্তার গত নয়দিন থেকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বলে অভিযোগ করেন । বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, লাবনী আক্তারের শরীরে রক্ত দেয়া হচ্ছে। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মুনিরুজ্জামান লিমন রোগীকে দেখে জানান, প্রসূতির প্রচুর রক্তক্ষরণে গর্ভে সন্তান মারা যাওয়ায় তিনি প্রচন্ড ভাবে দূর্বল হয়ে পড়েছেন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শ্রমিক ফারাজুল ইসলাম বলেন, হাতুড়ে ডাক্তার জেনে বুঝেই আমার স্ত্রীর প্রথম সন্তান নষ্ট করেছে। আমি এর বিচার চাই। এছাড়াও আমার স্ত্রীকে নিয়ে যেন কোন দপ্তরে বিচার প্রার্থনা না করি সে জন্য মোবাইল ফোনে প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান করছে হাতুড়ে ডাক্তার পরেশ চন্দ্র রায়। অভিযোগের কথা অস্বীকার করে হাতুড়ে চিকিৎসক পরেশ চন্দ্র রায় মুঠোফোনে বলেন, কিছু ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এ সমস্ত অভিযোগ করে বেড়াচ্ছে। আমি আমার দোকান থেকে কোন ঔষধ দেয়নি। অন্যকোন দোকান থেকে তার স্বামী ঔষধ কিনে খাইয়েছে। ঔষধ কেনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। তবে তিনি ঔষধের দোকান করলেও কোন ড্রাগ লাইসেন্স নেই বলে স্বীকার করেন।
×