ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উচ্ছেদ থেকে বাদ পড়ল হামিম ও আনন্দ গ্রুপ

প্রকাশিত: ০৮:৫২, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

উচ্ছেদ থেকে বাদ পড়ল হামিম ও আনন্দ গ্রুপ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিআইডাব্লিটিএর চলমান উচ্ছেদ অভিযান হটাৎ করে থেমে যায় টুঙ্গির নিশাত নগর শিল্প এলাকায়। এতে নামকরা দুইটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ থেকে বিরত থাকতে হয় সংস্থটিকে। হামিম গ্রুপ ও আনন্দ গ্রুপ নামে ওই দুইটি প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু অংশ নদীগর্ভে পড়েছে বিধায় উচ্ছেদ করতে নামে বিআইডাব্লিটিএর দুইটি এক্সাভেটর। কিন্তু উচ্চ আদালতের এক স্থগিত আদেশের ফলে থেমে যায় অভিযান। বিরত থাকতে হয় ওই দুইটি প্রতিষ্ঠানের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ থেকে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের রিট পিটিশন ৩৫০৩/২০০৯ অনুয়ায়ী উচ্চ আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, বর্তমানে চারটি জেলায় সংশ্লিষ্টি নদীগুলোর অভ্যন্তরে অবৈধ দখলদার কর্তৃক নির্মিত ও নির্মাধিন সকল স্থাপনা অবপসারণের যে কার্যক্রম চলিতেছে তাহা অব্যাহতভাবে চলিতে থাকিবে। নদীল অভ্যন্তরে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের ব্যাপারে কোন রূপ ব্যতিক্রম চলিবে না। অবৈধ স্থাপনা যাহারই হউক না কেন এবং সে যত বড় শক্তিশালীই হউক না কেন এবং তিনি যে গোষ্ঠিরই হউক না কেন বৈষম্যহীন এবং ব্যতিক্রম ছাড়া তাহা অপসারণ করিতে হইবে। পক্ষান্তরে হামিম গ্রুপের অবৈধ স্থাপনা ৫ মে পর্যন্ত উচ্ছেদ থেকে স্থগিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। বিধায় মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই প্রতিষ্ঠানের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন অভিযান পরিচালনায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী হাকিম মো: মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া আনন্দ গ্রুপের পক্ষেও উচ্চ আদালত একটি স্থগিত আদেশ দিয়েছে। এই মামলায় জুন মাসের মধ্যেই একটি শুনানি আছে। তাতে বিআইডাব্লিটিএর ল’য়ার শুনানি করবে। মামলা নিষ্পত্তি হলেই ওই প্রতিষ্ঠান দুইটির অবৈধ স্থপনা উচ্ছেদ করা হবে বলেও জানান নির্বাহী হাকিম। বৃহস্পতিবার বিআইডাব্লিটিএর উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় প্রত্যাশা সেতু ও কামার পাড়া সেতুর মাঝ থেকে। শেষ হয় আহসানিয়া ক্যানসার হাসপাতালের নিকটে এসে। এসময় তুরাগের উভয় পাড় থেকে ৯৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এবং ৭৪ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার নিলাম দেওয়া হয়। উদ্ধার হয় প্রায় চার একর জায়গা। অভিযানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী হাকিম মো: মোস্তাফিজুর রহমান। নির্দেশনায় ছিলেন বিআইডাব্লিটিএর যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দীন। এদিকে বিআইডাব্লিটিএর উচ্ছেদ অভিযানে জব্দ মালামাল প্রায় সময় নিলাম সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে। এতে প্রকৃত মূলা থেকে অনেক কম দামে নিলাম দিতে হয় জব্দ মালামাল। নিলামে তুল্লে একটি চক্র সিন্ডিকেট তৈরি করে মালের দাম কমিয়ে ফেল। প্রভাব খাটিয়ে, ভয়ভিতি দেখিয়ে এবং বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করে অন্য নিলাম গ্রহিতাদের নিলামে অংশগ্রহন করতে বাঁধা সৃষ্টি করছে ওই সিন্ডিকেট বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে কয়েকটি বালুর গদি নিলাম দেয় বিআইডাব্লিটিএ। নিলাম দুই লক্ষ শুরু হয়ে ৩৭ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়। নিলাম শেষে এক পর্যায়ে নিলামে ডাক গ্রহিতাদের মধ্যে সিন্ডিকেটের বাইরে যেয়ে ডাক বাড়ানো নিয়ে মারামারি লেগে যায়। পরে নির্বাহী হাকিমের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
×