ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রসঙ্গ ইসলাম ॥ ইসলামে অর্থনৈতিক মতাদর্শ

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৯

প্রসঙ্গ ইসলাম ॥ ইসলামে অর্থনৈতিক মতাদর্শ

অর্থনীতি মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। সুষ্ঠু, সুন্দর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা না থাকলে ধন সম্পদের সুষম বণ্টন বাধাগ্রস্ত হয়, বৈষম্য ও বঞ্চনা প্রকট আকার ধারণ করে। কেউ খাবে আর কেউ খাবে না এমনতর করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়। কেউ থাকে পাঁচতলায় আবার কেউ থাকে গাছতলায়, কেউ বিলাস-বৈভবে জীবন কাটায় আর কেউ এক মুঠো অন্নের অভাবে ক্ষুধার জ্বালায় ধুঁকে ধুঁকে ফুটপাথে মরে পড়ে থাকে, বেওয়ারিশ লাশ হয়ে যায়, মানুষে মানুষে এক বিরাট অসমতার উদ্ভব ঘটে, গুটিকয়েক লোক একচেটিয়া পুঁজির অধিকারী হয়ে বৃহৎ মানবগোষ্ঠীকে শোষণ করে, ক্ষুদ্র শোষক শ্রেণী বৃহত্তর শোষিত শ্রেণীর ওপর প্রচ- আধিপত্য বিস্তার করে। শোষিত শ্রেণী স্বপ্নেও সুখকে দেখতে পায় না। ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে বিশ্বে সব সামন্ত প্রভুদের দাপট আর রাজতন্ত্রের প্রবল আধিপত্য বিশ্ব মানবতাকে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় নিমজ্জিত করে রেখেছিল। সাধারণ মানুষ মরার পরে কবরে গিয়ে যে শান্তি পাবে কথাটাও ভাবতে পারত না। মানুষ হাটে-বাজারে বিক্রি হয়েছে গরু-ছাগলের মতো। ক্রীতদাস প্রথা চরম আকার ধারণ করেছিল। ইসলাম এসে সেই করুণ অবস্থা থেকে মানবতাকে উদ্ধার করল, এমন এক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রদান করল যা সব বৈষম্য ও অসমতা দূরীভূত করে দিয়ে ইনসাফভিত্তিক এক অনন্য সমতার সমাজ কায়েমের পথ নির্দেশ করল। এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সমাজের কোন ব্যক্তির ন্যায্য অধিকার ক্ষুণœ করার এবং কারও স্বার্থ বিনষ্ট করার কোনরূপ সুযোগ নেই। এই অর্থনৈতিক মতাদর্শে পরিশ্রম করে সুখী-সুন্দর জীবন গড়ার সুযোগ নিশ্চিত করে দেয়, যার ফলে মানবিক মূল্যবোধ সুদৃঢ় বুনিয়াদ লাভ করে। আল্লাহ জাল্লা শানুহু পৃথিবীতে মানুষের জীবন ধারণের জন্য, পৃথিবীতে খেয়ে-পরে সুন্দরভাবে বসবাস করার জন্য বিপুল সম্পদ দ্বারা পৃথিবীকে সুশোভিত করেছেন। তিনি মানুষের জন্য অজস্র নিয়ামত দান করেছেন। তিনি ইরশাদ করেন : পৃথিবীকে আমি বিস্তৃত করেছি এবং তাতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি, আমি তাতে প্রতিটি জিনিস উদ্গত করেছি সুপরিমিতভাবে এবং তাতে জীবিকার ব্যবস্থা করেছি তোমাদের জন্য, আর তোমরা যাদের জীবিকাদাতা নও তাদের জন্যও। আমার কাছে আছে বস্তুর ভা-ার এবং আমি তা পরিজ্ঞাত পরিমাণেই সরবরাহ করে থাকি (সূরা হিজর : আয়াত ১৯-২১)। মানুষের অর্থনৈতিক জীবন সচ্ছল করার জন্য ইসলাম যে অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রদান করেছে তাতে সুষম বণ্টন ব্যবস্থা সুচারভাবে বিন্যাসিত হয়েছে। আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু সবকিছুর মালিক। তিনি রাব্বুল আলামীন- বিশ্ব জগতের রব্। রব্ শব্দের অর্থ ব্যাপক। বোধগম্য ভাষায় রবের অর্থ যিনি স্রষ্টা তিনিই প্রতিপালক, তিনিই মালিক, তিনিই জীবিকাদাতা, তিনিই উদ্ভাবক, তিনিই সংরক্ষক, প্রতিপালক, বিবর্ধক। তিনিই কোন্টা বৈধ, কোন্টা অবৈধ, কি করা উচিত, কি করা উচিত নয়, কোন্টা হালাল, কোন্টা হারাম ইত্যাদি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তিনি ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ তিনি ছাড়া কোন মালিক নেই- লা মালিকা ইল্লাল্লাহ্। সার্বভৌমত্বের অধিকারী একমাত্র তিনিই। তাঁরই সার্বভৌমত্বের অধীন সমগ্র বিশ্ব জগত। কুরআন মজিদে ইরশাদ হয়েছে : তুমি কি জানো না, আকাশম-লী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহ্রই? আর আল্লাহ্ ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক নেই এবং সাহায্যকারীও নেই (সূরা বাকারা : আয়াত ১০৭)। ইসলাম রুজি-রোজগারের ক্ষেত্রে দৈহিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক উভয় শ্রমের বিশেষ ভূমিকার গুরুত্ব প্রদান করে। দক্ষতা ও পরি শ্রমের মাত্রানুযায়ী কেউ বেশি রোজগার করে, কেউ আবার আনুপাতিক হারে কম রোজগার করে। কেউ কঠোর পরি শ্রম করেও পরিস্থিতির শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়, আবার কেউ বঞ্চনার হাতে নিষ্পেষিত হয়ে অভাবগ্রস্ত বা ক্ষেত্রবিশেষে সর্বহারা হয়ে যায়। ইসলাম এই অসম অবস্থা নিরসনে যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা দিয়েছে তাতে কোন মানুষের ন্যায্য অধিকার খ-ন করার সুযোগ নেই, কারও মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করারও সুযোগ নেই। ইসলামে একচেটিয়া পুঁজি পুঞ্জীভূত করার সব পথ রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। ইসলামের অর্থনৈতিক গ-িতে এমন এক অর্থ স্রোতধারা প্রবহমান করা হয়েছেÑ যা শ্রেণী বিভক্ত সমাজের দেয়ালগুলো ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়ে শ্রেণীবিহীন, শোষণবিহীন এক অনন্য সমাজ গড়ার সুরম্য সড়ক সংস্থাপন করে দিয়েছে, যার ফলে এমন একটা সময় গেছে যে, সমাজের প্রত্যেক সদস্যই যাকাত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছিল, কোথাও যাকাত লেনেওয়ালা খুঁজে পাওয়া যেত না। ইসলামের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মূল উৎস যাকাত। যাকাত শব্দের আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা, প্রবৃদ্ধি। যাকাত গোনাহ্ এবং কৃপণতা থেকে যাকাতদাতাকে পবিত্র করে। কুরআন মজিদে ইরশাদ হয়েছে : আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের জন্য তোমরা যে যাকাত দাও তাতে (তোমাদের ধন) বৃদ্ধি পায় (সূরা রুম : আয়াত ৩৯)। এই যাকাত ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম। যাকাত কাদের দিতে হবে তার নির্দেশনা দিয়ে ৮টি খাতের উল্লেখ রয়েছে কুরআন মজিদে। ইরশাদ হয়েছে : সাদাকা (যাকাত) তো কেবল নিঃস্ব (ফকির), অভাবগ্রস্ত (মিসকিন) ও তৎসংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের (আমীল) জন্য, যাদের অন্তর আকর্ষণ করা হয় তাদের জন্য, দাস মুক্তির ও ঋণ ভারাক্রান্তদের জন্য, আল্লাহ্র রাস্তা (ফী সাবিলিল্লাহ্) ও পথিকদের জন্য (সূরা তওবা : আয়াত ৬০)। ইসলামের এই যাকাত বিধান অর্থনৈতিক ভারসাম্য এনে দেয়। এটাকে আর্থ-সামাজিক সমতার কার্যকর ব্যবস্থাও বলা যেতে পারে। যাকাত বিত্তহীনদের বিত্তবানের ধন সম্পদে ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছে, তেমনি বিত্তবানের ধন সম্পদকে পবিত্র রাখার দিশা দিয়েছে। উৎপাদন, ভোগ ও বণ্টন ব্যবস্থায় যাকাত বিধান বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় এক নিখুঁত বৈপ্লবিক মতাদর্শ। প্রত্যেক মানুষের ন্যূনতম চাহিদা মিটিয়ে আর্থ-সামাজিক সমতা আনয়নে যাকাতের কোন বিকল্প নেই। এতে হক্কুল্লাহ্-আল্লার্হ হক এবং হক্কুল ইবাদ- বান্দার হক সমন্বিত হয়েছে। যাকাত দিয়ে আল্লাহ্র ইবাদত যেমন সাধিত হয় তেমনি আল্লাহর বান্দার কল্যাণ সাধন করে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাস’উদ রাদিআল্লাহু তা’আলা আন্হু বর্ণিত একখানি হাদিস থেকে জানা যায় যে, প্রিয় নবী (সা) হযরত মু’আজ (রা)-কে ইয়েমেনের গবর্নর করে পাঠানোর প্রাক্কালে তাঁকে বলেন, তাদের (ইয়েমেনবাসীদের) আহ্বান জানাবে যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই এবং আমি (মুহম্মদ) আল্লাহ্ রসূল এই কলেমার সাক্ষ্য দাও। যদি তারা তোমার কথা মেনে নেয় তাহলে তাদের জানিয়ে দেবে যে, আল্লাহ্ তাদের সম্পদের ওপর সাদাকা (যাকাত) ফরয করেছেন। তাদের মধ্যকার ধনীদের কাছ থেকে তা আদায় করে তাদের মধ্যকার দরিদ্রদের মধ্যে তা বণ্টন করা হবে (বুখারী শরীফ)। এখানে লক্ষ্য করা যায় যে, যাকাতের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিত্তবানের সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ আদায় করে বিত্তহীনদের দিয়ে দেয়া। সম্পদের এই গতিময়তা মানুষে মানুষে বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে এক মোক্ষম হাতিয়ার। দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাতই কেবল সার্থক ভূমিকা রাখে। যাকাত থেকে দরিদ্রকে বঞ্চিত করে যারা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে আত্মতৃপ্তি পায় এবং বড়লোকের অহঙ্কার পরিদর্শন করে তাদের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা বিঘোষিত রয়েছে। হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদিআল্লাহু তা’আলা আন্হু যাকাত যারা না দেয় তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। যারা যাকাত না দিয়ে সম্পদ পুঞ্জীভূত করে এবং তা আল্লাহ্র পথে ব্যয় করে না তাদের সম্পর্কে কুরআন মজিদে শাস্তির ঘোষণা দেয়া হয়েছে এভাবে : আর যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য পুঞ্জীভূত করে এবং তা আল্লার্হ পথে ব্যয় করে না তাদের মর্মন্তুদ শাস্তির সংবাদ দাও। যেদিন জাহান্নামের আগুনে তা (স্বর্ণ-রৌপ্য) উত্তপ্ত করা হবে এবং তা দিয়ে তাদের ললাট, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগ দেয়া হবে। সেদিন বলা হবে, এটাই তা যা তোমরা নিজেদের জন্য পুঞ্জীভূত করতে (সূরা তওবা : আয়াত ৩৪-৩৫)। কুরআন মজিদে ব্যক্তি তার উপার্জনের কতটুকু নিজে ভোগ করতে পারবে এবং ধন-সম্পদের কতটুকু নিজের জন্য ব্যয় করবে, বঞ্চিত ও নিঃস্বদের জন্য কতটুকু ব্যয় করবে তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এখানে কৃপণতা ও অপব্যয় বা অপচয় করার কোন সুযোগ দেয়া হয়নি। কুরআন মজিদে ইরশাদ হয়েছে : তুমি তোমার হাত তোমার ঘাড়ে অবরুদ্ধ করে রেখ না এবং তা সম্পূর্ণভাবে প্রসারিত কর না। যদি তুমি এমনটা কর তা হলে তুমি নিন্দিত হবে এবং নিঃস্ব হয়ে যাবে (সূরা বনী ইসরাঈল : আয়াত ২৯)। ইসলাম মজুদদারি, ফটকাবাজি, ভেজাল মিশানো, চোরাচালানি ও কালোবাজারি ইত্যাদি অনৈতিক কার্যকলাপকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কুরআন মজিদে ইরশাদ হয়েছে : জাহান্নাম সেই ব্যক্তিকে ডাকতে থাকবে যে সত্যের প্রতি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে এবং মুখ ফিরিয়ে নেয় আর যে ব্যক্তি সম্পদ পুঞ্জীভূত ও মজুদ করে (সূরা মা’রিজ : আয়াত ১৭-১৮)। কৃষি উন্নয়ন ও উৎপাদন যত বেশি হয়, উৎপাদিত ফসল ব্যবহারের ক্ষেত্রে যত অপচয় মুক্ত হয় তত মানব সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে। কুরআন মজিদে ইরশাদ হয়েছে : আর তিনিই (আল্লাহ্্) লতা ও বৃক্ষ উদ্যানসমূহ সৃষ্টি করেছেন এবং সৃষ্টি করেছেন খেজুর বৃক্ষ, বিভিন্ন স্বাদের খাদ্যশস্য, জয়তুন ও আনার - এগুলো একে অপরের সদৃশ এবং বিসদৃশও। যখন তা ফলবান হয় তখন তার ফল আহার করবে আর ফসল তোলার দিনে তার দেয় দিয়ে দেবে এবং অপচয় করবে না, কারণ তিনি (আল্লাহ্) অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না (সূরা আন’আম : আয়াত ১৪১)। ইসলামে অবৈধ পন্থায় কিংবা জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে উপার্জন করার সুযোগ নেই। কুরআন মজিদে ইরশাদ হয়েছে : হে মুমিনগণ, তোমরা একে অপরের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না বরং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা-বাণিজ্য করা হয় তা বৈধ (সূরা নিসা : আয়াত ২৯)। ইসলামে পণ্যাদি ক্রয়-বিক্রয়কালে ওজনে বা মাপে কম দিয়ে ক্রেতাকে প্রতারিত করাকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। কুরআন মজিদে ইরশাদ হয়েছে : মন্দ পরিণাম তাদের জন্য যারা মাপে কম দেয়, যারা লোকের কাছ থেকে মেপে নেয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে এবং যখন তাদের জন্য মেপে দেয় অথবা ওজন করে দেয় তখন কম দেয়। ওরা কি চিন্তা করে না যে ওরা পুনরুত্থিত হবে মহাদিবসে? সব মানুষ যেদিন দাঁড়াবে রাব্বুল আলামীনের সম্মুখে (সূরা মুতাফ্ফিফীন : আয়াত ১-৬)। ইসলামে ব্যবসা-বাণিজ্যকে হালাল করা হয়েছে এবং সুদকে হারাম করা হয়েছে। কুরআন মজিদে ইরশাদ হয়েছে : আল্লাহ্্ বেচাকেনাকে হালাল করেছেন এবং হারাম করেছেন সুদকে (সূরা বাকারা : আয়াত ২৭৫)। হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা বকেয়া আছে তা ছেড়ে দাও যদি তোমরা মুমিন হও। হে মুমিনগণ, তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না এবং আল্লাহ্কে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার (সূরা আলে ইমরান : আয়াত ১৩০)। সুদদাতা ও সুদগ্রহীতা উভয়ের প্রতি প্রিয় নবী (সা) অভিসম্পাত করেছেন এবং আখিরাতে তাদের ওপর যে কঠিন শাস্তি নেমে আসবে তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন। সুদমুক্ত, শোষণমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ইসলামেই রয়েছে। ইসলামের অর্থনৈতিক মতাদর্শ গ্রহণের মাধ্যমেই কেবল প্রকৃত সুখের ও শান্তির দুনিয়া গড়া সম্ভব। লেখক : পীর সাহেব, দ্বারিয়াপুর শরীফ
×