ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ছয়জনের মেয়াদী সাজা

গণধর্ষণ, হত্যায় ১২ আসামির ফাঁসি

প্রকাশিত: ১১:০৩, ১৯ এপ্রিল ২০১৯

গণধর্ষণ, হত্যায় ১২ আসামির ফাঁসি

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পৃথক রায়ে তিন জেলায় ১২ আসামির মৃত্যুদ- দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া আরও ৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচজন, বগুড়ায় টাকা ছিনতাই ঘটনার জেরে হত্যার ঘটনায় পাঁচজন এবং ময়মনসিংহে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুইজন। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও বিডি নিউজের। আয়েশা খাতুন নামে এক তরুণীকে গণধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ৫ জনকে মৃত্যুদ- দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা করে অর্থদ- দেয়া হয়েছে। দ-প্রাপ্তরা হলো : জেলা সদর উপজেলার মালবাগডাঙ্গা গ্রামের নয়ন কর্মকার রবিদাস, সোনাপট্টি গ্রামের প্রশান্ত রবিদাস, চাকপাড়া গ্রামের নিতাইচন্দ্র রবিদাস, সুভাষ দাস (৪২) ও প্রশান্ত রবিদাস (২৪)। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে নয়ন কুমার রবিদাস ও প্রশান্ত রবিদাস (২২) উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা পলাতক রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শওকত আলী এ রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত ৩ জনকে বেকসুর খালাস দেয়। মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পিপি আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, ২০১৫ সালের ১৪ জুন সদর উপজেলার মহারাজপুর মেলার মোড়ের একটি ডোবা থেকে পুলিশ সদর উপজেলার কালিনগর বাবলাবোনা গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা খাতুনের (২০) মরদেহ উদ্ধার করে। প্রথমে তার মৃত্যুর কারণ জানা না গেলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের পর হত্যার কথা উল্লেখ থাকায় ওই বছরের ১৫ আগস্ট সদর থানার এসআই শামীম আকতার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক সারোয়ার রহমান একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসামি নয়ন প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে আয়েশা খাতুনকে ১৩ জুন ডেকে সহযোগীদের নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। বগুড়া ॥ গাবতলী উপজেলার এক হত্যা মামলার রায়ে পিতাপুত্রসহ ৫ জনের মৃত্যুদ-াদেশ এবং ৪ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালত গাবতলী উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের ইয়াছিন আলী মোল্লা হত্যা মামলার রায়ে এই দ-াদেশ দেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলো- গাবতলী উপজেলার ইসমাইল হোসেন ও তার দুই ছেলে যথাক্রমে মোঃ মামুন ও মোঃ জুলফিকার আলী টুটুল। অন্য দু’জন হলো- মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও মোঃ রহিম। একই মামলায় শাজাহান আলী সাজু ও মোঃ শিপনকে ৭ বছর করে কারাদ-, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদ-াদেশ দেয়া হয়। এছাড়া মোঃ সোহাগ ও রওশন আলী নামে অন্য দুজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- ও জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে।কারাদ-াদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে দু’ জন পলাতক রয়েছে। দ-াদেশ প্রাপ্তরা একই গ্রামের। ২০০৬ সালের ৩ জুন গাবতলী উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের আশার আলো সঞ্চয় সমিতির ৮০ হাজার টাকা ছিনতাই হওয়ার সময় ওই গ্রামের ইয়াছিন মোল্লার ভাই মিঠু বাধা দিতে গেলে আহত হন। এ ঘটনায় ইয়াছিন মোল্লা থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এতে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়। মামলার তদন্ত চলাকালে একই বছরের ১৭ জুন বিকেলে আসামিরা ইয়াছিন আলী মোল্লার বাড়িতে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্রসহ লাঠির আঘাতে ইয়াছিন আলী মোল্লা গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যৃ হয়। এদিকে ময়মনসিংহ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় জমির বিরোধে হত্যার দায়ে দুইজনের প্রাণদ- দিয়েছে আদালত। স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এহসানুল হক বৃহস্পতিবার ১৬ বছর আগের এক মামলায় এই রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো উপজেলার বড়জোরা গ্রামের আব্দুল হেলিম (৪২) ও আবুল কাশেম (৪০)। এ ছাড়া আব্দুল আজিজ ও খোকন মিয়া নামে আরও দুই আসামিকে তিন বছরের কারাদ- দিয়েছে আদালত। আর অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত আরও ২৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
×