ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাঙালী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বিকাশ সমানভাবে হতে হবে ॥ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:০৭, ১৯ এপ্রিল ২০১৯

বাঙালী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর  সাংস্কৃতিক বিকাশ সমানভাবে হতে হবে ॥ প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের জাতীয় সংস্কৃতি বিকাশে বাঙালী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বিকাশ সমানভাবে হতে হবে। তা না হলে, আমাদের সামগ্রিক বিকাশ ঘটবে না। সেই সাংস্কৃতিক বিকাশ হবে খ-িত। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআই-এসএস) আয়োজিত ‘জাতীয় সংস্কৃতি বিকাশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য সংরক্ষণের গুরুত্ব ও প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক সেমিনারে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের ৫০টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। বিশেষ প্রকল্প ও নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক নানা বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ চর্চার ব্যবস্থা করা হয়েছে সাংস্কৃতিক একাডেমিগুলোতে। সেমিনারে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সঙ্গে বাঙালীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। পাহাড়েও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে। তবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়। তাদের জীবনযাপনকে নেতিবাচকভাবে দেখানো হয়। এই জনগোষ্ঠীকে সমতলের মানুষ এমনভাবে দেখে যেন তারা জাদুঘরের কোন বস্তু। এই দূরত্ব কাটাতে বাঙালী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বাড়াতে হবে। এ জন্য হারিয়ে যেতে বসা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করতে হবে। তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে এবং সাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মেসবাহুল ইসলাম, বাংলাদেশ আর্মির বান্দরবান রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার মোঃ শাহিদুল এমরান। সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএস-এসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আব্দুর রহমান। সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছে। তাদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, ঐতিহ্যবাহী উৎসব ও সংস্কৃতি।
×