স্পীকার এবং অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) কমিশনের সভাপতি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাজেটে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন তথা অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট প্রণয়নে সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। বৃহস্পতিবার ঢাকায় স্থানীয় একটি হোটেলে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) আয়োজিত সংসদ সদস্যদের জন্য মানসম্মত বাজেট আলোচনা পদ্ধতি শীর্ষক দু’দিনব্যাপী লিডারশিপ ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসর।
লিডারশিপ ওরিয়েন্টেশনের সভাপতি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং যুব, কর্মসংস্থান ও আইসিটি সম্পর্কিত সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের সভাপতি মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান এমপি। স্পীকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া রূপকল্প-২০২১ অনুযায়ী সরকার পরিচালিত হচ্ছে।
এছাড়া ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল, ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন এবং ২০৪১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্য অর্জনেও বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। লক্ষ্যগুলো অর্জনে জাতীয় বাজেট কতটুকু সহায়ক তা সংসদ সদস্যরাই বিশ্লেষণ করতে পারেন। স্পীকার বলেন, বাজেট প্রস্তুতকরণ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। নির্বাহী বিভাগের সকল প্রক্রিয়া শেষে বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয় এবং পাস হয়। সংসদ সদস্যদের জাতীয় সংসদে এবং সংসদীয় স্থায়ী কমিটিসমূহে বাজেট সম্পর্কে মতামত রাখার সুযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট প্রণয়ন করা সম্ভব। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার গত এক দশকে বাজেটে গুণগত অনেক পরিবর্তন এনেছে। বাজেটের কলেবরও বৃদ্ধি পেয়েছে। জেন্ডার ভিত্তিক বাজেট বিশেষ করে নারীদের জন্য সব মন্ত্রণালয়ে পৃথক বরাদ্দ থাকছে বাজেটে। এছাড়াও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্যও পৃথক বাজেট বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং উন্নয়ন সুবিধা তৃণমূলে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। এ সময় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে দারিদ্র্য বিমোচন সহায়ক বাজেট প্রণয়নে সংসদ সদস্যগণকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট প্রণয়নে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ॥ স্পীকার
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: