ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়াদোত্তীর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশারের ব্যবহার

অগ্নিঝুঁকিতে রাজশাহীর অধিকাংশ ভবন

প্রকাশিত: ১১:৫৫, ১৯ এপ্রিল ২০১৯

অগ্নিঝুঁকিতে রাজশাহীর অধিকাংশ ভবন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী মহানগরে জনবসতি যেমন বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে বহুতল ভবনের সংখ্যা। তবে এসব ভবনের বেশিরভাগেই নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। ফলে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে ভবনগুলোয়। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) অনুমোদন নিয়ে এ ভবনগুলো নির্মাণ করা হলেও মানা হচ্ছে না নিয়ম। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বা মালিক পক্ষের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার প্রতি রয়েছে চরম অনীহা। নির্মাণের সময় অধিকাংশ ভবনে আন্ডারগ্রাউন্ড (পানির) রিজার্ভ পয়েন্ট তৈরি না করায় এগুলো সূচনালগ্ন থেকেই থেকে যাচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায়। ভবন মালিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন এমন সংখ্যা রয়েছে হাতেগোনা। আর ভবনগুলোতে যে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম রয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আবার অনেক ভবনে শুধু মোয়াদ উত্তীর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশার ঝুলিয়ে রেখেই দায় এড়ানো হচ্ছে। শুধু নতুন ভবনের ক্ষেত্রে নয় পুরাতন ভবন, শপিংমল, মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় রয়েছে। ইতোমধ্যে নগরীর বড় দুটি মার্কেটকে অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ভবন অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার কারণে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের অগ্নিকা-ের ঘটনা। মূল কারণ হিসেবে দেখা যায়, মার্কেটগুলোয় চলাচলের গলি পথগুলো সরু, আর সেই সরু পথে বিভিন্ন দোকানের মালামাল রেখে আরও সরু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এলোমেলোভাবে ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক তার বিপদের আশঙ্কা আরও বাড়িয়েছে। এছাড়াও এই ভবনগুলোর আশপাশে কোন জলাধার না থাকা ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি আরও বেশি রয়েছে। এ ব্যাপারে ভবন মালিকদের সঙ্গে একাধিকবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ বিভিন্নভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিলেও দায়সারা স্বীকারোক্তি দিয়ে পরবর্তীতে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মালিকদের কাছে লিখিত নোটিস পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ। জানা গেছে, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আওতায় বর্তমানে প্রায় ৮ লাখ স্থায়ী বাসিন্দা রয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লেখা-পড়া ও জীবিকার তাগিদে আরও প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। এখানে বন্যা, ভবন ধসের তুলনায় অগ্নিকা-ের ঝুঁকি রয়েছে বেশি। রাজশাহী মহানগরী এবং এর আশপাশে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৩টি ইউনিটে প্রায় ৭৮ জন সদস্য রয়েছে।
×