ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘হাত’ দিয়ে গোল করেছেন টটেনহ্যামের লরেন্ট

প্রকাশিত: ১২:০৮, ১৯ এপ্রিল ২০১৯

‘হাত’ দিয়ে গোল করেছেন টটেনহ্যামের লরেন্ট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনার ‘ঈশ্বরের হাত’ নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন তারকা হাত দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে আসর থেকে বিদায় করে দিয়েছিলেন ফুটবলের জনক ইংল্যান্ডকে। অনেকদিন পর ম্যারাডোনার স্মৃতি ফিরে এসেছে। বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে স্বদেশী ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে ‘হাত’ দিয়ে এক গোল করে আসরের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে টটেনহ্যাম হটস্পার। ফার্নান্ডো লরেন্টের করা গোলটি নিয়ে এখন তুমুল বিতর্ক চলছে। পুরো ম্যাচেই ভাগ্য বিড়ম্বনায় পড়া সিটিজেনদের কোচ পেপ গার্ডিওলাও ভিডিও এ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভার) প্রযুক্তি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। সেই ১৯৬১-৬২ মৌসুমের ইউরোপিয়ান কাপের (বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ) পর এবার প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিতে উঠেছে টটেনহাম। তবে সাফল্যের এই মুকুটে অনেকটাই কালিমা লেগে গেছে। ম্যাচের বয়স তখন ৭৩ মিনিট। ৪-২ গোলে পিছিয়ে টটেনহ্যাম। ম্যাচের স্কোরলাইন এমন থাকলে সেমিতে উঠবে সিটি, আর কোনভাবে একটা গোল দিতে পারলে সিটিকে টপকে টটেনহ্যামই উঠে যাবে সেরা চারে। এই অবস্থায় কর্নার পায় স্পার্সরা। ইংলিশ রাইটব্যাক কিয়েরান ট্রিপিয়েরের হাওয়ায় ভাসানো কর্নারটা কোনভাবে গায়ে লাগিয়ে গোল করেন লরেন্টে। এ সময় সিটির খেলোয়াড়রা দাবি তোলে হাতে লেগে গোল হয়েছে। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভিডিও এ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভার) সহায়তা নেন মাঠের রেফারি কুনাইট কাকির। ভিডিও রিপ্লে যে কোণ থেকে দেখানো হয়, সে কোণ থেকে মনে হয় লরেন্টের কোমরে লেগে বল জালে জড়ায়। ওই ফুটেজের ওপর ভিত্তি করেই কাকির টটেনহ্যামকে গোল উপহার দেন। কিন্তু টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্য কোণ থেকে নেয়া আরেকটি ফুটেজে দেখা গেছে কোমরে নয়, আগে লরেন্টের হাতেই লেগেছিল বল। হাতে লেগে তারপর কোমরের স্পর্শ পেয়ে বল ঢুকেছে জালে। এরপরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ম্যাচ শেষে ব্যথিত সিটি কোচ পেপ গার্ডিওলা বলেন, আমি ফুটবলে ভারের ভূমিকাকে সম্মান করি। কিন্তু আমার দিক থেকে মনে হয়েছিল, বলটা লরেন্টের কোমরে নয়, হতে লেগেছিল। হয়তো রেফারি অন্যদিক থেকে দেখেছেন। শুধু তাই নয়, ম্যাচের শেষ মুহূর্তে স্টার্লিংয়ের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। এই গোলটি পেলেও সেমিতে উঠত সিটি। কিন্তু সবকিছুই বিরুদ্ধে যাওয়ায় ভীষণ হতাশ গার্ডিওলা বলেন, আমি সবসময় ন্যায্য ফুটবলের পক্ষে। মাঝে মধ্যে রেফারিদেরও সাহায্য লাগে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। এখন অফসাইড তো অফসাইডই। কী বলতে পারি আমি আর এ নিয়ে? আমি খুব বেশি হতাশ। ফুটবল মাঝে মধ্যে অনেক নির্মম। এটা মেনে নিতে হবে।
×