ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়া ও গাজীপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯

বগুড়া ও গাজীপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

অনলাইন ডেস্ক ॥ বগুড়া ও গাজীপুরে গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। দুটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাই ঘটেছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে। এর মধ্যে বগুড়ায় সন্ত্রাসীদের দুপক্ষে গোলাগুলিতে এক শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং গাজীপুরে র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে এক অস্ত্র কারবারি নিহত হয়েছেন। গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, গতকাল রাত আড়াইটার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সালনা এলাকায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন, যিনি অস্ত্র ব্যবসায়ী বলে দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল। র্যাব-১ এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, রাত আড়াইটার দিকে সিটি করপোরেশনের সালনা এলাকায় কয়েকজন অস্ত্র বেচাকেনা করছে এমন খবর পেয়ে র্যাব-১ এর একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থলে থাকা যুবকরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গোলাগুলির সময় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত যুবকের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। নিহতের মরদেহ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়া শহরের উপশহর-ধরমপুর সংযোগকারী ধুন্দল ব্রিজের দক্ষিণ পাশের সুবিল খালপাড়ে আরেকটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীদের নিজেদের মধ্যে চলা ওই বন্দুকযুদ্ধে বগুড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও বেশ কয়েকটি হত্যা মামলার আসামি রাফিদ আনাম স্বর্গ (২২) নিহত হয়েছেন। নিহত স্বর্গ বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া শহীদ নগর এলাকার মৃত লিয়াকতের ছেলে। স্বর্গের বাবা লিয়াকতও ছিল বগুড়া শহরে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একজন। পেশাদার খুনি হিসেবে লিয়াকত পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিল। ২০০৬ সালে লিয়াকত পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। পুলিশ জানায়, বৃস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ধুন্দল ব্রিজ এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনে পুলিশের কয়েকটি দল সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল একটি ম্যাগজিন, এক রাউন্ড গুলি এবং একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করে। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী এবং সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান তাকে উদ্ধার করে জিয়াউর রহমান মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতালে থাকা লোকজন তাকে ঠনঠনিয়া শহীদনগর (খান্দার) এলাকার খুনি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘স্বর্গ’ বলে শনাক্ত করেন। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, পুলিশের রেকর্ডে দেখা যায় নিহত স্বর্গের নামে সদর এবং শাজাহানপুর থানায় খুন, চাঁদাবাজি অস্ত্র আইনে সাতটি মামলা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে শাজাহানপুরের জামাদারপুকুর এবং শহরের খান্দার মালগ্রাম এলাকায় সে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
×