ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নরসিংদীতে নদীতে মাছ ধরার ঘের স্থাপন

প্রকাশিত: ০২:০৪, ১৯ এপ্রিল ২০১৯

নরসিংদীতে নদীতে মাছ ধরার ঘের স্থাপন

ষ্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী ॥ মাছের ঘেরের কারনে নরসিংদীর মেঘনাসহ বিভিন্ন নদীর স্বাভাবিক স্রোতধারায় মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। নদীর কিনারায় গাছগাছালির ডালপালা, বাঁশ ও কচুরিপানা দিয়ে তৈরী করা হয়েছে শ’ শ’ ঘের। স্থানীয়ভাবে এই ঘের “খেও” বা “খাইর” নামে পরিচিত। এসব ঘের নরসিংদীর বিভিন্ন নদীর মোহনা সহ মূল মেঘনা শাখাসমুহে ছোট বড় অসংখ্য ডুবোচরের সৃষ্টি করেছে। ফলে কয়েক দশকে নদীগুলোর মূল স্রোত বাধাগ্রস্ত হয়ে ভরাট হয়ে মরা নদে পরিনত হয়েছে। ভরাট হয়ে গেছে মেঘনার কয়েকটি শাখা। গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে মূল মেঘনাতে। শুস্ক মৌসুমে মূল মেঘনায় নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শাখাসমুহে কোন নৌযান চলাচল করতে পারছে না ফলে মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে নদী পাড়ের হাজার হাজার মানুষ। অবশ্য সরকার কর্তৃক নদীগুলো খননকাজ ইতোমধ্যেই শুরু করলেও মূল মেঘনা ও মেঘনার মোহনায় এখনও এসব খাইর দেয়া হচ্ছে। এসব খাইরের কচুরিপানা ছুটে গিয়ে সারা মেঘনা দখল করে নিয়েছে। ফলে নৌ-চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এক ঘন্টার পথ পাঁচ ঘন্টায়ও পাড়ি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। জানাগেছে নদ-নদীতে এসব মাছের ঘের তৈরির আইনগত কোন ভিত্তি নেই। সম্পূর্ন বে-আইনীভাবে তৈরি এসব মাছের ঘের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির মোটা অঙ্কের অর্থ আয়ের উৎস। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই ঘের তৈরি করে নদীর পানিকে দূষন ঘটাচ্ছে। অথচ জেলা প্রশাসন রহস্যজনক কারনে বে-আইনী মাছের ঘের উচ্ছেদে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করছে না। এছাড়া ফাল্গুন-চৈত্র মাসে নদ-নদীর পানি কমে গেলে ডালপালা ও পাতা পঁচে পানির দূষণ ঘটায়। মেঘনার একই জায়গা দখল করে প্রতিবছর ঘের স্থাপনের ফলে গাছের ডালায় পলিবালি জমে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ডুবোচর। যা মেঘনার গতিপথ পরিবর্তন করে দিচ্ছে। মেঘনার শাখাগুলো ভরাট হয়ে পড়ছে। অথচ কেউ এর প্রতিকার করছে না । মাছের ঘের নদ-নদীর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হওয়া সত্ত্বেও এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন নীরব। জেলার মৎস্য কর্মকর্তা তোয়াজ উদ্দিন আহমেদ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×