ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

১২ বছরে কমপক্ষে ২০ লাখ ইঁদুর নিধন করেছেন মাগুরার হান্নান

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ১৯ এপ্রিল ২০১৯

   ১২ বছরে কমপক্ষে ২০ লাখ ইঁদুর নিধন  করেছেন মাগুরার হান্নান

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা ॥ ইঁদুরের যম মাগুরার আব্দুল হান্নান । শুধু মাগুরা নয় গোটা দেশকে ইঁদুরমুক্ত করার ইচ্ছে তার। এ লক্ষেই ২০০৭ সালে তার যাত্রা শুরু মাগুরা জেলার বড় খড়ি গ্রাম থেকে। মিলেছে দুটি জাতীয় পুরস্কার। হান্নানের দাবি গত ১২ বছরে কমপক্ষে ২০ লাখ ইঁদুর মেরেছে সে । মাগুরা সদর উপজেলার বড়খড়ি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান জানান, ২০০৭ সালে মাঠ থেকে ধান কেটে বাড়ির ওঠানে রাখার ৭দিনপর মাড়াই করার সময় দেখেন ইঁদুরে ধান কেটে নষ্ট করে ফেলেছে । এসময় ভীষণ কষ্ট পায় হান্নান। সেইসাথে মনে আসে ভয়ানক জেদ। যা থেকেই ইদুর নিধন অভিযানে নামা তার। বাড়ি, দোকান ঘর, ফসলী মাঠ ইঁদুরমুক্ত করতে হান্নানের সহযোগিতা নিতে থাকে সবাই। ইঁদুর নিধনের নানা রকমের ফাঁদ সরবরাহ করতে থাকে সে সর্বত্র। যেখানেই ইদুর নিধনের প্রয়োজন সেখানেই ডাক পড়ে হান্নানের। সে মধু, গুড়, জিংক ফসফেট দিয়ে তৈরি করেছে তরল বিষ টোপ। এই টোপগুলো হান্নান হাটেবাজারে লোক মারফত বিক্রি করে। যার দাম সর্বনি¤œ ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা সর্বোচ্চ। যার প্রয়োজন হয় তিনি হান্নানের দোকান থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। ইঁদুর নিধন শেষে যন্ত্রগুলো আবার ফেরত দিয়ে যায় তারা। ১ লাখ ৮৮ হাজার ৪০ টি ইঁদুরের লেজ দেখিয়ে ২০০৯ সালে ইঁদুর নিধনের জন্য জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় পেয়েছে হান্নান। ২ লাখ ৩০ হাজার ১০২ টি ইঁদুর নিধনের জন্য ২০১৩ সালে পেয়েছে জাতীয় পর্যায়ের প্রথম পুরস্কার। আব্দুল হান্নান জানায়, লিকুইড জাতীয় বিষ টোপ দিয়ে ইঁদুর নিধন সবচেয়ে সহজ। জিংক ফসফেট, মধু, গুড় মিশ্রিত এই লিকুইড বেগুন, আলু জাতীয় সব্জির সাথে মিশিয়ে রাখলে ইদুর খেয়ে দ্রুত মারা যায়। ব্যক্তিগত জীবনে হান্নান ২ পুত্র, ১ মেয়ের জনক। ভ্যান রিকসার বডি মিস্ত্রির কাজে যে আয় হয় তা দিয়ে সংসারের সব ব্যয় নির্বাহ করে হান্নান। হান্নানের দাবি গত ১২ বছরে কমপক্ষে ২০ লাখ ইদুর মেরেছে সে । মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমীন জানান, সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে করা তার এই কাজ আমাদের জন্য অনেক সহায়ক হচ্ছে। তাকে এ সংক্রান্ত যে কোন প্রয়োজনে আমরা সহযোগিতা করছি।
×