ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দু’এক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে

প্রকাশিত: ১০:২৩, ২০ এপ্রিল ২০১৯

 দু’এক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পহেলা বৈশাখের পর থেকেই সারাদেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে গেছে। এর বিপরীতে বাড়ছে তাপমাত্রা। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে গরমের মাত্রাও বেড়ে চলেছে। আগামী দু’একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা জানান, এই সময়ের মধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে। তারা আরও উল্লেখ করেন তাপমাত্রা বাড়লে গরমের মাত্রা বৃদ্ধির বিষয়টি নির্ভর করছে বাতাসের আর্দ্রতার ওপর। আর্দ্রতা কম থাকলে তাপমাত্রা বাড়লেও গরমের অনুভূতি বেশি হবে না। গত দু’দিনে বাতাসে আর্র্দ্র্রতার পরিমাণ কম থাকায় গরমের অনুভূতিও কম ছিল। তারা উল্লেখ করেছেন গরমের অনুভূতির সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতার সম্পর্ক রয়েছে। তাপমাত্রা বাড়লে আর্দ্রতার পরিমাণ যদি কম থাকে তাহলে গরমের অনুভূতিও কম থাকে। গত দু’দিনে তাপমাত্রা বাড়লেও আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকায় গরমের অনুভূতি কম রয়েছে। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস জানান জনকণ্ঠকে বলেন, তিন দিনের মধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এর পাশাপাশি কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিও হতে পারে। বিশেষ করে আজ শনিবার দেশের সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে ঝড়া বজ্রঝড় হতে পারে। তিনি জানান জানা তাপমাত্রা বাড়লে ওই যে গরমের মাত্রা বাড়বে না নয়। এর সঙ্গে আর্র্র্র্র্র্র্র্দ্র্র্র্র্র্র্র্রতার কোটা সম্পর্ক রয়েছে। গত দুইদিনে তাপমাত্রা ৩৬-এর ওপরে ছিল। কিন্তু আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক থাকায় গরমের অনুভূতি সে রকম ছিল না। ফলে অনেক প্রচ- রোদের মধ্যে আবহাওয়া অনেক আরামদায়ক মনে হয়েছে। তিনি বলেন সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। কিন্তু আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকলে গরম বেশি অনুভূত হবে না। এপ্রিলের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড় এবং শিলা বৃষ্টি। সঙ্গে বজ্রঝড়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু গত ১৪ এপ্রিল থেকে দেশের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক কমে যায়। হঠাৎ বেড়ে যায় গরমে অনুভূতি। আবহাওয়াবিদরা এর ব্যাখ্যায় বলেন টানা বৃষ্টিপাতের পর হঠাৎ রোদের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বাতাসে জলীয় কণার পরিমাণ বেড়ে যায়। রোদের এই জলীয় কণাও গরম হয়ে যায়। ফলে যতটা না তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। গরমের অনুভূতি ছিল তার চেয়ে দ্বিগুণ। কিন্তু গত কয়েকদিনে বাতাসে জলীয় কণার পরিমাণ কমে যাওয়া গরমের মাত্রাও এখন অনেক কমে গেছে। তারা জানান আগামীতে তাপমাত্রা বাড়লে গরমের বিষয়টি নির্ভর করছে আর্দ্রতার ওপর। কারণ বাতাসে আর্র্র্র্র্র্র্দ্র্র্র্র্র্র্র্রতার পরিমাণ বেশি থাকলেই কেবল গরমের পরিমাণ বাড়বে। আর যেদিন আর্র্দ্র্রতার পরিমাণ কম থাকে তাহলে তাপমাত্রা বাড়লেও গরমের অনুভূতি কম থাকবে। আবহাওয়াবিদরা জানান, গত মঙ্গল এবং বুধবার গরমে অনুভূতি ছিল সবচেয়ে বেশি। কারণ বৃষ্টিপাতের পর এই সময়ে বাতাসে জলীয় কণার পরিমাণও ছিল বেশি। কিন্তু বৃহস্পতি ও শুক্রবার তাপমাত্রা বাড়লেও জলীয় কণার পরিমাণ কম থাকায় গরমের অনুভূতি কম ছিল। তারা জানায় আগামীতে তাপপ্রবাহ এবং গরমের বিষয়টি নির্ভর করছে আর্র্র্র্র্র্র্দ্র্র্র্র্র্র্র্রতার ওপর। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ফরিদপুরে ৩৬. ৪ ডিগ্রী সেলিসিয়াস। সর্বনিম্ন ২০.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এদিকে আবহাওয়ার পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিম বঙ্গ ও তার আশেপামে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বভাসে বলা হয়েছে রাজশাহী খুলনা বরিশাল, ঢাকা চট্টগাম সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্র বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আকাশ মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
×