ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টিনশেড বা আধা পাকা বাজার তালিকার বাইরে ;###;সরেজমিনে রাজধানীর ৫০ কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একটিতেও অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা নেই

বাজারেও আগুনের ঝুঁকি ॥ তালিকায় ৩শ’ শপিংমল মার্কেট বিপণিবিতান

প্রকাশিত: ১১:০১, ২০ এপ্রিল ২০১৯

 বাজারেও আগুনের ঝুঁকি ॥ তালিকায় ৩শ’ শপিংমল মার্কেট বিপণিবিতান

রাজন ভট্টাচার্য ॥ গুলশান ও খিলগাঁও বাজারের পর এবার মালিবাগ বাজারে ঘটল অগ্নিকা-ের ঘটনা। রাজধানীতে প্রায় প্রতিদিনই একাধিক অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটছে। চলমান আগুন আতঙ্কের মধ্যে বৃহস্পতিবারের আগুনে নিঃস্ব হলো মালিবাগ বাজারের দুই শতাধিক ব্যবসায়ী। তাই অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়টি ফের আলোচনায়। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজধানীতে আগুনের ঝুঁকিতে রয়েছে তিন হাজার ৭৭২ প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে শপিংমল/মার্কেট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, হাসপাতাল, আবাসিক হোটেল ও মিডিয়া সেন্টার। এক হাজার ৩০০ শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান রয়েছে অগ্নি ঝুঁকিতে। ভবন ধরে এই তালিকা হয়েছে। আর টিনশেড বা আধাপাকা বাজারগুলো তালিকার বাইরে রয়েছে। এরমধ্যে বাংলাবাজার, নীলক্ষেত, খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা, বাসাবো, বনানী, ফার্মগেট, নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, মীরপুর, মিটফোর্ড, বঙ্গমার্কেট, চাঁদনীচকসহ এ ধরনের সবকটি বাজারই অগ্নি ঝুঁকিতে। সরেজমিন রাজধানীর অন্তত ৫০ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, একটিতেও অগ্নি নির্বাপণের কোন ব্যবস্থা নেই। এমনও বাজার আছে যেখানে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করার কোন সুযোগ নেই। নেই পানি সরবরাহের ব্যবস্থা। তাই সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিকল্পিতভাবে রাজধানীর বাজার নির্মাণ করা জরুরী। এতে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। অন্যথায় ভবিষ্যতে হয়ত অগ্নিকা-ের ঘটনায় হতাহতের মিছিলে যোগ হবে নতুন নতুন নাম। বাড়বে সম্পদ হারানো মানুষের সংখ্যাও। যাত্রাবাড়ী আড়ত, মুগদা কাঁচাবাজার, বাশার টাওয়ার বাজার, ফকিরাপুল বাজার, সেগুন বাগিচা বাজার, বড় মগবাজার বাজার, শান্তিনগর কাঁচা বাজার, খিলক্ষেত কাঁচাবাজার, মহাখালী কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে অগ্নি নিরাপত্তার কোন বালাই নেই। ইচ্ছেমতো দোকান সাজানো হয়েছে এসব বাজারে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বিদ্যুতের তার ও সংযোগ। ক্রেতা থাকা অবস্থায় এসব বাজারে আগুন লাগলে পদপিষ্ট হয়ে বাড়বে হতাহতের সংখ্যা। খিলগাঁও রেলগেট বাজারে দেখা গেছে, ছোট ছোট আধাপাকা দোকানে অনুমোদন ছাড়াই কাঠের দোতলা করা হয়েছে। বেশিরভাগ দোতলায় রাখা হয় মালামাল। আবার কর্মচারীদের থাকার ঘর হিসেবেও তা ব্যবহৃত হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী সিদ্দিক জানালেন, মালামাল নিরাপত্তার কারণে অনেক সময় কর্মচারীদের দোকানে রাখতে হয়। কিন্তু পণ্যের নিরাপত্তার প্রয়োজনে মানুষের জীবন যখন ঝুঁকিতে থাকে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বছরের পর বছর আমাদের এভাবেই কেটে যাচ্ছে। নিত্যদিনের ঝুঁকি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার মালিবাগ বাজারে অগ্নিকা-ের ঘটনায় দুই শতাধিক ব্যবসায়ী পথে বসেছেন। টিনশেডের এই বাজারটিতে অগ্নি নির্বাপণের কোর রকম ব্যবস্থা ছিল না। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আসন্ন রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্য মজুদ করেছিলেন তারা। এখন সব পুড়ে কয়লা হয়েছে। এই বাজারটির ঠিক বিপরীতে রয়েছে রেলগেট কাঁচা বাজার। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই বাজারটির কোন অনুমোদন নেই। ইচ্ছামতো কাঁচাপাকা ঘর নির্মাণ করে দিব্যি বছরের পর বছর বাজার চলছে। যদিও এই বাজারটিতে পানি সরবরাহের কোন ব্যবস্থা নেই। অবৈধভাবে প্রতিটি দোকানো নেয়া হয়েছে বিদ্যুত সংযোগ। ব্যবসায়ীরাই বলছেন, আগুন লাগলে দমকল কর্মীদের সরঞ্জামাদি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো হবে কষ্টসাধ্য। কারও কারও বক্তব্য, পুরো বাজারটিই রেলওয়ের জমিতে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল অর্থের বিনিময়ে এখানে বাজার চালাচ্ছেন। রেল বিভাগও এ বিষয়ে নিশ্চুপ। গত ২৮ মার্চ রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে খ্যাত বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে ফারুক-রুপায়ন টাওয়ারে অগ্নিকা-ের ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। চলতি বছর ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকা-ে ৭১ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এরপর গুলশান কাঁচাবাজারে ঘটে অগ্নিকা-ের ঘটনা। চার এপ্রিল খিলগাঁও সিটি কর্পোরেশন মার্কেটেও আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারি পর থেকে রাজধানীতে প্রায় প্রতিদিনই অগ্নিকা-ের ঘটনা লেগেই আছে। কোনদিন পাঁচটির বেশি ঘটনা ঘটে। বারবার আগুনের ঘটনায় নগরজুড়ে এখন আতঙ্ক বিরাজ করলেও প্রতিটি স্থাপনার অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে উদাসিনতা রয়েই গেছে। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষসহ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নগরীর ৯৫ ভাগ ভবন অগ্নি ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব ভবনে অগ্নি নিরাপত্তায় নেয়া হয়নি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। যেমন ছিল না বনানীর এফআর টাওয়ারে। ভবনটির সিঁড়িপথও ছিল অপ্রতুল। অনুমোদনহীন কয়েকটি তলা বাড়ানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই এফআর টাওয়ারের চারপাশে গা ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে একের পর এক সুউচ্চ ভবন। অথচ বিল্ডিং কোড অনুযায়ী এক ভবন থেকে অন্য ভবনের তিন মিটার দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম রয়েছে। সবচেয়ে ঘনবসতির শহর ॥ জাতিসংঘের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতির শহর ঢাকা। দিন দিন এখানে বসতির হার বেড়েই চলছে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঢাকায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করছেন ৪৪ হাজার ৫০০ জন। আর মুম্বাইয়ে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩২ হাজার ৪০০ জনের বেশি। জাতিসংঘ তহবিল (ইউএনএফপিএ) ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য মতে, ২০১৭ সালে ঢাকায় প্রতিদিন নতুন মুখ যুক্তের হার ছিল ১ হাজার ৭০০ জন। গ্রাম ও জেলা শহর থেকে যারা আসছেন তারা স্থায়ীই হয়ে যাচ্ছেন এই শহরে। এতে বেড়েই চলেছে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার (মেগাসিটি) জনসংখ্যা। গার্ডিয়ানে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর আমেরিকার মধ্যে নিউইয়র্ক সিটি হচ্ছে সবচেয়ে ঘনবসতির। গত বছরই ইউএনএফপিএর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পৃথিবীর মেগাসিটিগুলোর মধ্যে ঢাকার জনঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৩ হাজার ৫০০ মানুষ বাস করেন; বছর ঘুরতেই যা বাড়ল হাজার খানেক। এভাবে চলতে থাকলে বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে ঢাকা। হারাবে বসবাসের উপযোগিতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তদারকির অভাবেই চোখের সামনে ঢাকা মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছে। ২০১০ সালের ৩ জুনের বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় রাসায়নিকের আগুনে জ্বলে উঠেছিল নিমতলী। যাতে প্রাণ হারান ১২৪ জন। মুহূর্তেই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। সেদিনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা আর আগুনের লেলিহান শিখা এখনও ভুলতে পারেননি এলাকার মানুষ। তবুও শিক্ষা হয়নি। মৃত্যু ঝুঁকি উপেক্ষা করেই চলছেন সবাই। যেন নির্বিকারের শহর। আগুনের ঝুঁকিতে তিন হাজার ৭৭২ প্রতিষ্ঠান ॥ ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যান বলছে, রাজধানীর ভবনগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় না রেখেই নির্মাণ হয়েছে। ফলে আগুন লাগলে হতাহতের সংখ্যা হয় অনেক। নষ্ট হয় সম্পদ। আগুনের বেশি ঝুঁকিতে থাকা বিভিন্ন ভবন চিহ্নিত করে ব্যানার লাগানো হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে। বিভিন্ন সময় ফায়ার সার্ভিস এসব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে সতর্ক করলেও তারা এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফায়ার সার্ভিস বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ এসব প্রতিষ্ঠানের অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত ফায়ার সার্ভিসের কোন ছাড়পত্র বা অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনার (ফায়ার সেফটি প্ল্যান) অনুমোদন নেই। ২০১৭ সালের ১২ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এবং ২৬ অক্টোবর থেকে ১২ নবেম্বর পর্যন্ত দুই দফা রাজধানীর চারটি অঞ্চলে থাকা শপিংমল/মার্কেট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, হাসপাতাল/ক্লিনিক, আবাসিক হোটেল ও মিডিয়া ভবনগুলো পরিদর্শন করে একটি তালিকা তৈরি করে ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। এ সময় সংস্থাটি তিন হাজার ৮৫৫ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তিন হাজার ৭৭২ আগুনের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক হাজার ৩০৫ শপিংমল/ মার্কেট/ বিপণিবিতানের মধ্যে ৬২২টি ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ৬৭৮টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। মাত্র পাঁচটি ‘সন্তোষজনক’ তালিকায় রয়েছে। এক হাজার ৭৪টি সরকারী-বেসরকারী স্কুল/ কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৯৫ ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ৭৬৬টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে মাত্র ১৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ‘সন্তোষজনক’ বলা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের ৬৯২ শাখা অফিসের মধ্যে ১৭৩টি ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ৪৭৪টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। মাত্র ৪৫টি সন্তোাষজনক চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস। সরকারী-বেসরকারী ৪৩৩ হাসপাতালের মধ্যে ১৭৩টি ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ২৪৯টিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বাকি ১১টি হাসপাতাল রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের সন্তোষজনক তালিকায়। ৩২৫ আবাসিক হোটেলের মধ্যে ৭০টি ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ২৪৮টি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে। মাত্র সাতটি হোটেলকে সন্তোষজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২৬ মিডিয়া ভবনের মধ্যে ১৮টি ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ছয়টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ তালিকায় রয়েছে। মাত্র দুটি মিডিয়া প্রতিষ্ঠান রামপুরার বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং কুড়িল বারিধারার যমুনা টেলিভিশনের ভবন রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের সন্তোষজনক তালিকায়। ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস সূত্রে জানা গেছে, আগুনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষমতা রয়েছে কিনা তা জানতে এসব প্রতিষ্ঠানের মাটির নিচের জলাধারের ধারণক্ষমতা, অবস্থানকারী মানুষের সংখ্যা, ভবন বা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশদ্বারের প্রশস্ততা, ধোঁয়া ও তাপ শনাক্তকরণ যন্ত্রের উপস্থিতি রয়েছে কিনা, ভবনের মেঝের আয়তন, জরুরী বহির্গমন সিঁড়ি, প্রয়োজনীয় লিফট ইত্যাদি বিবেচনায় নেয়া হয়। এরপর প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং সন্তোষজনক হিসেবে ছয় ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহ্নিত করে সংস্থাটি। তবে বাণিজ্যিক ভবন ও আবাসিক ভবনের কোন তালিকা তৈরি করেনি ফায়ার সার্ভিস। আগুনের ঝুঁকিতে এক হাজার ৩০০ শপিংমল-মার্কেট-বিপণিবিতান ॥ ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যান বলছে, গুলশানের গুলশান শপিং সেন্টার, এম প্রেজ প্লাজা, জব্বার টাওয়ার শপিংমল, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ভূঁইয়া ম্যানশন, গুলশান ভবন মার্কেট, গুলশান-২ ডিএনসিসি কাঁচাবাজার মার্কেট, পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্স, বিদিশা সুপার মার্কেট, সাবেরা টাওয়ার মার্কেট, বাইশ বর সুপার মার্কেট, ল্যান্ড মার্ক শপিং সেন্টার, গুলশান টাওয়ার, জব্বার টাওয়ার শপিংমল, পুলিশ প্লাজা, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, গুলশান-১ নম্বরের ডিএনসিসি মার্কেট। পুরান ঢাকার কাপ্তানবাজার কমপ্লেক্স ভবন-২, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স আদর্শ ইউনিট, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স গুলিস্তান ইউনিট, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স মহানগর, মহানগর বিজনেস এ্যাসোসিয়েশন লিমিটেড, ঢাকা ট্রেড সেন্টার। বনানী-বারিধারার ডিএনসিসি বনানী সুপার মার্কেট, সাদ মুসা সিটি সেন্টার, মেহেদী মার্কেট, আলহাজ গোলাম কিবরিয়া ম্যানশন, বাংলাদেশ ইউএস মৈত্রী কমপ্লেক্স। প্রগতি সরণির হাজী জমির উদ্দিন সুপার মার্কেট, ফজিলা শপিং সেন্টার। বাড্ডার ফুজি ট্রেড সেন্টার, আবেদ আলী মার্কেট, আরএএস প্লাজা, লুৎফুন টাওয়ার, রিজভ্যালি শপিং সেন্টার, হাকিম টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্স। বসুন্ধরার ভাই ভাই সুপার মার্কেট, হাজী আবদুল লতিফ ম্যানশন, আমির ড্রিম কমপ্লেক্স, ফরাজী টোলা কাঁচাবাজার। ভাটারার আবদুল লতিফ মার্কেট। বারিধারার নতুন বাজার দোকান মালিক সমিতি মার্কেট। মহাখালীর জননী ভবন মার্কেট, শাহীন ম্যানশন, মহাখালী প্লাজা, জেবা টাওয়ার। তেজগাঁওয়ের সেন্টার পয়েন্ট ও বে-এম্পোরিয়াল মার্কেট, আহমেদ মার্কেট, তোহা মিয়া মার্কেট, শেখ প্লাজা, মগবাজার প্লাজা, সাউদিয়া সুপার মার্কেট, রহমান ম্যানশন, আয়শা মঞ্জিল, হাজী মোতালেব মার্কেট। কারওয়ান বাজারের শাহ আলী টাওয়ার, নিক্য পেপার এ্যান্ড স্টেশনারি, কারওয়ান বাজার ২ নম্বর সুপার মার্কেট, কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেট, কারওয়ান বাজার কামার পট্টি, হাসিনা মার্কেট, কাব্যকস সুপার মার্কেট, ব্র্যাক আড়ং। মগবাজারের বাটা বাজার, বেঙ্গল টাওয়ার, আড়ং প্লাজা, বিশাল সেন্টার শপিং মল, রাজ্জাক প্লাজা শপিং কমপ্লেক্স, আহম্মেদ পরিবার মার্কেট, আলহাজ শামছুদ্দিন ম্যানশন, সিরাজ ম্যানশন মার্কেট। উত্তরার কেসি টাওয়ার, টপটেন শপিংমল, ১৩ নম্বর ফার্নিচার মার্কেট, উত্তরা বাজার সুপার মার্কেট, আকতার ফার্নিচার, একে টাওয়ার, ওয়েসটেস লিমিটেড, ওরিয়ন ফুটওয়ার, মি এ্যান্ড মম, ফ্যামন প্যারাডাইজ। পল্টনের বায়তুল মোকাররম মার্কেট, পলওয়েল সুপার মার্কেট, সিটি ভবন, জাহাঙ্গীর শপিং কমপ্লেক্স, রমনা ভবন মার্কেট, মওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম মার্কেট, ভলিবল মার্কেট। গুলিস্তানের এনএক্স টাওয়ার, সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেট, ঢাকা ট্রেড সেন্টার দক্ষিণ, ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২, বঙ্গবন্ধু স্কয়ার পাতাল মার্কেট, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেট, ডন প্লাজা, নবাব প্লাজা, পীর ইয়ামেনী মার্কেট। বংশালের জাকের সুপার মার্কেট, রোজলীন ভিসতা শপিং কমপ্লেক্স। মিরপুরের মিরপুর টাওয়ার নার্শি মার্কেট, ডাসুরা টাওয়ার, সিটি ক্লাব মার্কেট, ইকবাল কমপ্লেক্স, চৌরঙ্গী মার্কেট, হাজী গণি মোল্লা মার্কেট, সৈকত প্লাজা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জামে মসজিদ কমপ্লেক্স। পুরান ঢাকার ওয়ারীর মুক্ত বাংলা হকার্স মার্কেট, কাপ্তানবাজার কমপ্লেক্স ভবন-১, খন্দকার ইলেক্ট্রনিক মার্কেট, শাহবাগের আজিজ কো-অপারেটিভ সুপার মার্কেট। নবাবপুরের আবদুর রহিম মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার, মজনু হার্ডওয়ার মার্কেটও আগুনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
×