ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

২০২০ সালের মধ্যে সব নাগরিককে স্মার্ট পরিচয়পত্র দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২০ এপ্রিল ২০১৯

২০২০ সালের মধ্যে সব নাগরিককে স্মার্ট পরিচয়পত্র দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে

অনলাইন রিপোর্টার ॥ জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) হারিয়ে গেলে তা উঠাতে এখন আর ঢাকায় আসতে হবে না, নিজ জেলাতেই যাতে নাগরিকরা হারানো কার্ড পেতে পারেন সে উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধন ও স্মার্ট কার্ড পেতে এখনো ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। নির্বাচন কমিশন বলছে, অনেকে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে আসে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের ইটিআই ভবনে জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধন বা উত্তোলনের জন্য সারা দেশের মানুষ ভিড় করে। ইসির জেলা ও উপজেলা অফিস থেকে আবেদন করেও দিনের পর দিন সেবা না পাওয়ায় অনেকে বাধ্য হয়ে এসেছেন ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে। নাগরিকদের পরিচয়পত্র সংশোধনে দীর্ঘসূত্রতা ও যথাযথ যাচাই কাজের পেছনে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যার বয়স তিন বছর ছিল সে তো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। সে কিন্তু ঠিকই চেষ্টা করছে যেকোনোভাবে তার জন্ম ১৯৫৭ সালের আগে দেখাতে। সেটা সে চেষ্টা করলেই তো আমরা হতে দেব না। তাহলে তো আমাদের দেশের কোনো অথেন্টিকেটেড কোনো ডকুমেন্টই থাকল না। একজন হত্যা মামলার আসামি যেন তার নাম বা অন্য কিছু বদলিয়ে পার পেতে না পারে। এটা কোনোভাবেই হতে দিতে পারি না।’ এনআইডি মহাপরিচালক আরো বলেন, ‘আর যারা পেনশন নিচ্ছে আমরা তো তাদের বায়োমেট্রিক্যালি ভেরিফাই করে দিয়েছি। এবং সেখানে নির্দিষ্ট সংখ্যক লোকের অস্তিত্ব আমরা দুনিয়াতে পাচ্ছি না। এবং তার সংখ্যা প্রায় এক লাখের মতো। আমরা তাদের খুঁজছি।’ তবে ভোগান্তি কমাতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে হারানো কার্ড উত্তোলনে ঢাকার বাইরের নাগরিকদের আসতে হবে না। সেসব ডুপ্লিকেট লেমিনেটেড কার্ড প্রিন্ট হবে জেলায় জেলায়। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘শিগগিরই আমরা ১৯টি জেলা থেকে ছাপানো কার্ড দেওয়া শুরু করব। আমাদের পরিকল্পনা আছে ৬৪টি জেলা থেকেই হারানো কার্ড প্রিন্ট করব, যাতে ভুক্তভোগীদের ঢাকায় না আসতে হয়।’ ইসি সচিব বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তার তথ্য যেভাবেই আছে তা প্রিন্ট করে পাঠিয়ে দেব। ভুল থাকলে ভুল, আপাতত ‘নট ফাউন্ড’ যে কার্ডগুলো আছে, যেই অবস্থায় আছে ওই অবস্থায়ই আমরা প্রিন্ট করে তাদের হাতে তুলে দেব।” অসম্পূর্ণ তথ্য থাকায় যাদের স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হয়নি তাদের শিগগিরই তা দেওয়া হবে জানিয়ে ইসি সচিব আরো বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে দেশের সব নাগরিককে স্মার্ট পরিচয়পত্র দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।
×