ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে ফার্মেসিতে কাজ করেই হয়ে গেলেন বিসিএস ডাক্তার

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ২০ এপ্রিল ২০১৯

টাঙ্গাইলে ফার্মেসিতে কাজ করেই হয়ে গেলেন  বিসিএস ডাক্তার

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ কোনো ডাক্তারি সার্টিফিকেট নেই। ঢাকায় একটি ওষুদের দোকানে থাকতেন। পরে জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেই বিসিএস ক্যাডারের ডাক্তার হন। এক পর্যায়ে তিনি ‘টাঙ্গাইল ক্লিনিক এন্ড হসপিটাল’ এ ডাক্তার সেজে রোগী দেখার কাজ করতে থাকেন। টাঙ্গাইলে এফএম শাহ সেকেন্দার (৪৭) নামের ওই ভুয়া ডাক্তারকে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার রোকনুজজামান এ দন্ডাদেশ দেন। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, দন্ডপ্রাপ্ত শাহ সেকেন্দার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মাটিকাটা এলাকার ওমর আলী ফকিরের ছেলে। শাহ সেকেন্দার ডাক্তার না হলেও তিনি বিসিএস ডাক্তার পরিচয় দিতেন। এমনকি তিনি টাঙ্গাইল শহরের ‘টাঙ্গাইল ক্লিনিক এন্ড হসপিটাল’ এ প্রায় ৫ মাস ধরে বিসিএস ডাক্তার পরিচয়ে রোগী দেখতেন। এর আগে প্রায় ২০ বছর আগে তিনি ঢাকার একটি ফার্মেসিতে কাজ করতেন বলে ডিবি পুলিশ জানায়। টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি (দক্ষিণ) এর এসআই ওবায়দুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি টাঙ্গাইল ক্লিনিক এন্ড হসপিটালে শাহ সেকেন্দার নামে একজন ভুয়া বিবিএস ডাক্তার রয়েছে। এমনকি তার নেইমপ্লেটেও বিসিএস ক্যাডার স্বাস্থ্য লেখা রয়েছে। পরে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে। এসআই ওবায়দুর রহমান আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শাহ সেকেন্দার কোনো ডাক্তার নয় বলে স্বীকার করেন। এছাড়া তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে ঢাকায় একটি ওষুধের দোকানে থাকতেন। পরে তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেই বিসিএস ক্যাডারের ডাক্তার বনে যান। এক পর্যায়ে তিনি ‘টাঙ্গাইল ক্লিনিক এন্ড হসপিটাল’ এ রোগী দেখা শুরু করেন। পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, তার কোনো ডাক্তারি সার্টিফিকেট নেই। তার সাইনবোর্ডসহ ভুয়া ভিজিটিং কার্ড রয়েছে। তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান বলে নিজেকে প্রচার করেন। এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত রায় কুমার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করে ৬ মাসের বিনাশ্রম করাদন্ড দেয়া হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
×