ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নুসরাতের ঘটনা সরকারের জন্য অ্যাসিড টেস্ট ॥ টিআইবি

প্রকাশিত: ০০:৩৬, ২১ এপ্রিল ২০১৯

নুসরাতের ঘটনা সরকারের জন্য অ্যাসিড টেস্ট ॥ টিআইবি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ফেনীর নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ড এবং এ ঘটনার ন্যায়বিচার সরকারের জন্য একটি অ্যাসিড টেস্ট বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। আজ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) চত্বরে টিআইবি আয়োজিত ‘নুসরাত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে’ এক মানববন্ধন তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের সু্যোগ রয়েছে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ডে শুধু প্রত্যক্ষদের বিচার করলে হবে না, তাদের বিচারের আওতায় আনলে হবে না। এ ঘটনা ঘটেছে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যারা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলো। সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার কমিটি, শিক্ষক এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা জড়িত আছেন। তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব অবহেলা ছিলো তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা দেখি যখন কোনো অন্যায় হচ্ছে ঠিক তখনই পুলিশ অন্যায়কারীদের পক্ষ নেয়। তারা অন্যায়ের পক্ষে জড়িয়ে পড়ে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার কোনো ন্যায়বিচার আসেনি। আমরা নুসরাতের ঘটনায় ন্যায়বিচার নিয়ে সঙ্কিত। তবুও আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হলেও এখনও কমছে না নারীর প্রতি সহিংসতা। একের পর এক এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেই চলেছে। একটি ন্যায়বিচারও জনগণ দেখতে পায়নি। তবে এবার নুসরাতের এ ঘটনা সরকারের জন্য অ্যাসিড টেস্ট (অগ্নি পরীক্ষা)। এ ঘটনায় ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপনের সুযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের সুযোগ তৈরি হবে। তিনি নুসরাত হত্যার ন্যায়বিচার ও সব পর্যায়ের বিচারহীনতার অবসান ঘটানোর পাশাপাশি গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা কথা বলেন। পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকসহ জাতীয় শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠানের কার্যকর, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের দাবি জানান তিনি। টিআইবির সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), ইয়েজ গ্রুপসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।
×