ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নান্দাইলে বোরো ধানে চিটা কৃষকের মাথায় হাত

প্রকাশিত: ০৭:২৫, ২১ এপ্রিল ২০১৯

নান্দাইলে বোরো ধানে চিটা কৃষকের মাথায় হাত

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ ॥ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ব্রি-২৮ জাতের ধান সোনালী রং ধরতে শুরু করেছে। আর ব্রি-২৯ জাতে সবেমাত্র শিষ বের হচ্ছে। এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে সব ধানে চিটা রোগ। আর এতে কৃষকদের মাথায় হাত পরেছে। কালবৈশাখী দুই দফা আঘাত হানার পর এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের রোরো মৌসুমে নান্দাইলে প্রায় ২২ হাজার ২শত ৮০ হেক্টরজমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এই উপজেলায় সাধারণত ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ জাতের ধান বেশি চাষ হয়ে থাকে। ভালো ফলনের জন্য ব্রি-২৯ এবং কিছুটা তাড়াতাড়ি ফসল ঘরে তুলার জন্য ব্রি-২৮ চাষ করে কৃষক। সম্প্রতিউপজেলার মুশুলী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ কৃষক এই দুই জাতের ধান আবাদ করেছে। এসময় কাউয়ারগাতী গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান বাচ্চু (৫৫) বলেন, অনেক আশা করে এ বছর বোরো ধান আবাদ করেছিলাম। সারা বছর ঘরের খেয়ে কিছু ধান বিক্রি করে পরিবারের সকল চাহিদা মেটানো যেত। কিন্তু ধান খেতের পরিস্থিতি ভালো না। কালবৈশাখীর কারণে সব ধান চিটা হয়ে গেছে। তার উপর ইঁদুরে ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে। ধরগাঁর গ্রামে খেতে থেকেমরা শিষ তুলছিলেন কৃষক কামরুল ইসলাম (৩৫)। তিনি তাড়াতাড়ি ধান ঘরে তুলার জন্য ব্রি-২৮ জাতের ধান চাষ করেছিলেন। তিনি বলেন, এবার ধানের শিষ বের হওয়ার সময় কালবৈশাখীর ঝড় হয়। সেই ঝড়ে তার ধানে শিষ চিটা হয়ে গেছে। পাশের জমির মালিক জমশেদ মিয়া (৪৮) বলেন, ধান গাছে শিষ ধরার সময় দুই দফা ঝড় হয়েছিল। এতে ধানের শিষ ও ফুল পড়ে যাওয়ায় তাঁর সবকটি জমিতে চিটা হয়েছে। এতে তিনি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত।উত্তর পালাহার গ্রামের সনজু মিয়া ৬০ শতক জমিতে ব্রি-২৯ ধান চাষ করেছেন। ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায় তিনি জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করছেন। কিন্তু তারপরও তার শঙ্কা চিটা নিয়ে। এই বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ব্রি-২৮ ধানে পরাগায়ন হওয়ার সময় বৈরী আবহাওয়া থাকে। আর এই আবহওয়ার কারণেই এই রোগ দেখাদেয়। দিনের বেলায় অতিরিক্ত গরম আর রাতে কুয়াশার কারণে চিটা হয়ে থাকে। উপজেলা কৃষি অফিস চিটার সচেতনতার জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। ব্লক সুপারভাইজারদের নিয়ে তিনি নিজেই কৃষকদের পরার্মশ দিচ্ছেন। উপজেলার চর এলাকায় এই চিটা বেশি দেখা দিয়েছে।
×