ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পবিত্র শবেবরাত পালিত

প্রকাশিত: ০২:৩২, ২২ এপ্রিল ২০১৯

যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পবিত্র শবেবরাত পালিত

অনলাইন রিপোর্টার ॥ যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় রবিবার রাতে সারাদেশে পবিত্র শবেবরাত পালিত হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে এ উপলক্ষে রবিবার বাদ মাগরিব থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান শুরু হয়। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল কুরআন তিলাওয়াত, হামদ-না’ত, ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত। উল্লেখ্য, হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ শবে বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে। মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এ রাতটি ‘লাইলাতুল বরাত’ হিসেবে পরিচিত। পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে সোমবার সরকারি ছুটি। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ এবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাত অতিবাহিত করেন। মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্বের মুসলমানরা বিশেষ মোনাজাত করেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এক বাণীতে পবিত্র শবেবরাতে দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্য কামনা করেছেন। এ উপলক্ষে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহর প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শবেবরাত মুসলমানদের জন্য এক মহিমান্বিত ও বরকতময় রজনী। মাহে রমজান ও সৌভাগ্যের আগমনী বারতা নিয়ে লায়লাতুল বরাত প্রতিবারের ন্যায় এবারও আমাদের মাঝে সমাগত।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা এবং পবিত্র শবেবরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আসুন, সকল প্রকার কুসংস্কার ও কূপমন্ডূকতা পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।’বাসস
×