নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ নাব্যতা কমে যাওয়ায় বঙ্গবন্ধু সেতুর তলদেশে চাষাবাদ হচ্ছে বোরো ধান, পাট, কাউন, তিল, বাদামসহ নানা শাকসবজি। চরের বিস্তৃতি বাড়ার পাশাপাশি তা স্থায়ী চরে পরিণত হয়েছে। এক সময় যে যমুনায় স্রোতের কারণে নদী পারাপারেই হিমশিম খেত স্থানীয়রা। বর্তমানে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে নাব্যতা হারাচ্ছে প্রমত্তা যমুনা নদীর ভূঞাপুর ও কালিহাতী উপজেলা অংশের।
সরেজমিনে গিয়ে এমনচিত্র দেখা যায়। সেখানে এখন প্রায় পানি শুন্য, জেগে উঠা চরগুলোতে চাষাবাদ করছে চরাঞ্চলের চাষীরা। ফলে এখানে মানুষের বসতির সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতিও চাঙা হচ্ছে। এর সঙ্গে সেখানে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু গরু-মহিষের খামার। এতে পাল্টে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার চরাঞ্চলের অর্থনীতি। শত শত একর জমিতে শোভা পাচ্ছে বোরো ধানের চাষ। আজ থেকে ২০ বছর আগেও যমুনা নদীর তীব্রতা ছিল ভয়াবহ। তখন কেউ চিন্তাও করতে পারেনি যমুনা নদীর বুকে এক সময় চাষাবাদ হবে। কিন্তু যমুনা নদীতে “বঙ্গবন্ধু সেতু” স্থাপিত হওয়ার পর থেকে এর তীব্রতা কমতে থাকে। যমুনা নদীর বুক এখন ফসলে ভরা। জেগে উঠা ধু-ধু বালুচরে এখন উঠতি বোর ধান শোভা পাচ্ছে। যা আগামী অল্প কিছু দিনের মধ্যে ধান কেটে ফসল ঘরে তুলবে কৃষকরা। এদিকে যমুনা নদীর হারানো গৌরব ফেরাতে এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: