ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপিতে যৌথ নেতৃত্ব গড়ে উঠেছে : ফখরুল

প্রকাশিত: ০৯:১২, ২২ এপ্রিল ২০১৯

বিএনপিতে যৌথ নেতৃত্ব গড়ে উঠেছে  :  ফখরুল

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর দলের মধ্যে যৌথ নেতৃত্ব গড়ে উঠেছে বলে উল্লেখ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলতে চাই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পরে আমরা যৌথ নেতৃত্ব গড়ে তুলেছি। সেই যৌথ নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা আজকে জনগণের কাছে যেতে পেরেছি। সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রদল নেতারা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকের সংকটটা কোথায়? সংকট হচ্ছে, একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রবিহীন করা হচ্ছে। সেই জন্যেই গণতন্ত্রের যারা নেতা, গণতন্ত্রের যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন; গণতন্ত্রকে যারা অতীতে প্রতিষ্ঠা করেছেন, বাংলাদেশে তাদেরকে আজ রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। আজকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সচেতনভাবে মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নিয়ে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে দিয়ে একদলীয় শাসন-ব্যবস্থা প্রবর্তন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেজন্য দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে বারবার বলে গিয়েছিলেন, দল-মত নির্বিশেষে গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য, মানুষের অধিকারকে রক্ষা করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য, দেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করতে হবে, লড়াই করতে হবে, আন্দোলন করতে হবে। আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলতে চাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পরে আমরা যৌথ নেতৃত্ব গড়ে তুলেছি। সেই যৌথ নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা আজকে জনগণের কাছে যেতে পেরেছি। জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করে আজকে আমাদের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং আমাদের নেতাকর্মী যারা মিথ্যা মামলায় আটক হয়ে আছেন তাদেরকে মুক্ত করতে হবে, যোগ করেন মির্জা ফখরুল। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আসুন, গণআন্দোলন সৃষ্টি করি। যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা নেত্রীকে মুক্ত করব, দেশকে মুক্ত করব, গণতন্ত্রকে মুক্ত করব। শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এটাকে সবসময় নিন্দা জানিয়েছি। গতকালও নিন্দা জানিয়েছি। যারা হতাহত হয়েছে তাদের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করছি এবং আমাদের যারা আহত হয়েছেন তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। এই ধরনের হত্যাকাণ্ড টেররিস্ট অ্যাক্টিভিটিসকে নিন্দা করি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক খালেক হাওলাদারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
×