ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে এক কোটি টাকার তামাকসহ ট্রাক জব্দ

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ২২ এপ্রিল ২০১৯

টাঙ্গাইলে  এক কোটি টাকার তামাকসহ ট্রাক জব্দ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ টাঙ্গাইলে অবৈধ সিগারেট তৈরিতে ব্যবহার যোগ্য তিন টন তামাকসহ ট্রাক জব্দ করেছে ঢাকা পশ্চিমের ভ্যাট দল। ট্রাকসহ জব্দ করা তামাকের মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। রবিবার সকালে সেখানে অভিযান চালিয়ে তিনটন ওই তামাক জব্দ করা হয়। দুপুরে ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনার ড. মইনুল খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যাটের দল ট্রাকের ওপর নজরদারি করে। ট্রাকটি যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতু অতিক্রম করলে সেতুর পূর্ব পাশের স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ট্রাকটির গতিরোধ করে। কাগজপত্র যাচাই করে সকালে ট্রাকটি জব্দ করা হয়। জব্দ করা ট্রাকের নম্বর কুষ্টিয়া-ট-১১-০৯৪১। ট্রাকটি টাঙ্গাইল ভ্যাট বিভাগীয় দপ্তরে জমা করা হয়েছে। ভ্যাট ফাঁকি ও অবৈধ পণ্য ব্যবহারের প্রচেষ্টার কারণে মামলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষে আরও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভ্যাট কমিশনার মইনুল খান বলেন, ওই তিটন তামাক অবৈধ সিগারেট তৈরিতে ব্যবহার করার জন্য টাঙ্গাইলে আনা হয়েছে। ট্রাকটির চালালে তামাকের ডাস্ট বা উচ্ছিষ্ট আছে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এতে পাওয়া গেছে প্রক্রিয়াজাত তামাক। প্রক্রিয়াজাত করা ওই তামাক কেবল সিগারেট বানানোর কাজে প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারযোগ্য। ওই তামাক সিগারেট ফ্যাক্টরিতে ‘রেডি টু ইউজ’ হিসেবে ব্যবহারের জন্যই আনা হয়েছে। ট্রাক চালান অনুযায়ী পণ্যচালানটি নেত্রকোনায় রহমান ট্রেডার্সের নামে আনা হয়েছে। কিন্তু নেত্রকোনায় ওই ট্রাক চালান যাচাই করে প্রাপকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ট্রাকটি কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারার সালমান টোবাকো থেকে আনা হয়েছে বলে ট্রাকের চালক জানান। কিন্তু ট্রাকের সাথে যথাযথ ভ্যাট চালান বহন করা হয়নি। ফলে ভ্যাট ফাঁকির উদ্দেশ্যে এবং অবৈধ ব্যবসার কাজে ব্যবহারের জন্য অসত্য চালানের মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে পণ্য বের করা হয়। একইসাথে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কোন সিগারেট ফ্যাক্টরিতে ব্যবহারের জন্য ওই তামাক আনা হয়েছে ধারনা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গত ১১ এপ্রিল ঢাকা পশ্চিম ভ্যাটের দল র্যাবের সহযোগিতায় টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার কামার্থী গ্রামে অটোরাইস মিলের আড়ালে গড়ে ওঠা অবৈধ সিগারেট ফ্যাক্টরির সন্ধান পায়। ওই ফ্যাক্টরি থেকে নকল সিগারেট, ফিল্টার, টোবাকো ও মেশিনারিজ জব্দ করে। ফ্যাক্টরিতে স্থাপিত উন্নতমানের মেশিনারিজ দিয়ে দৈনিক ২০ লাখ সিগারেট তৈরি করা সম্ভব। ফলে মাসে সরকারের প্রায় ৫১ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি হতো। ওই ফ্যাক্টরি থেকে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর ব্রান্ডের নকল সিগারেট উৎপাদন করা হতো। আজকের জব্দ করা প্রক্রিয়াজাত করার পূর্বের জব্দ করা তামাকের সাথে মিল রয়েছে। আজকের ট্রাক আটকে বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকায় আরো অবৈধ ফ্যাক্টরি আছে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাকসহ জব্দ করা সিগারেটে ব্যবহারযোগ্য তামাকের মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।
×