ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্কুলছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ১০:০৬, ২২ এপ্রিল ২০১৯

স্কুলছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ হাত-পা বেঁধে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে কোচিং সেন্টারের মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর কোচিং সেন্টার বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন সাইফুল ইসলাম নামের ওই ধর্ষক। গত ১২ এপ্রিল দুপুরে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করান। চিকিৎসা শেষে গত ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বাড়ি ফিরেছে মেয়েটি। ধর্ষণের ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় মামলা করেছেন। মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিকাশ রুদ্রকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আসামি সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য সাইফুল গোপনে বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে স্কুলছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে। যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিকাশ রুদ্র বলেন, স্কুলছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। আসামি যাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম কিছু দিন আগে উত্তর আমিরাবাদে সৃজনশীল নামের একটি কোচিং সেন্টার খুলেন। নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী, তার বোন ও দুই ভাইকে ওই কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। সেই থেকে সাইফুলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিবারের যোগসূত্র তৈরি হয়। ওই ছাত্রীর মা বলেন, ঘটনার আগের দিন আমি বিশেষ কাজে আমার বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যাই। ১২ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে সাইফুল ইসলাম আমাকে ফোন করেন। আমি কোথায় জানতে চাইলে আমি বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আছি বলে জানাই। এরপর তিনি আমাদের ঘরে এসে আমার মেয়েকে একা পেয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে গুরুতর আহত করেন। এ সময় আমার মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সাইফুল পালিয়ে যান। পরে মেয়েকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দীর্ঘ এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর ১৮ এপ্রিল আমার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসি। এরই মধ্যে ১৫ এপ্রিল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের সহযোগিতায় লোহাগাড়া থানায় মামলা করি। কিন্তু পুলিশ এখনো আসামি সাইফুলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
×