ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চার গোল হজম

প্রকাশিত: ১২:০২, ২৩ এপ্রিল ২০১৯

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চার গোল হজম

জিএম মোস্তফা ॥ ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে বড় পরাজয়ের লজ্জা পেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রবিবার এভারটনের মাঠে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে তারা। গত ৩৫ বছরের মধ্যে ম্যানইউ’র বিপক্ষে এভারটনের এটাই সবচেয়ে বড় জয়। পিমিয়ার লীগে এদিন পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে আর্সেনালও। ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে ৩-২ গোলে নিজেদের মাঠে হেরে যায় উনাই এমেরির দল। তবে দুই জায়ান্টের হারের দিনে স্বমহিমায় লিভারপুল। জার্গেন ক্লপের শিষ্যরা এদিন ২-০ গোলে হারায় কার্ডিফ সিটিকে। সেই সঙ্গে প্রিমিয়ার লীগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে টপকে লীগ টেবিলের শীর্ষে উঠে যায় অলরেডরা। ২০১৬ সালের অক্টোবরে চেলসির বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরেছিল ম্যানইউ। সেই হারের পর রবিবারই সবচেয়ে বড় হারের লজ্জা পেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। মধ্যম সারির দল এভারটনের কাছে রীতিমতো বিধ্বস্ত ওলে গানার সোলসজায়েরের শিষ্যরা। লীগে অষ্টম হারের স্বাদ পাওয়া ম্যানইউ আগামী মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে খেলতে পারবে কি না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। ম্যাচটা ছিল গডিসন পার্কে। নিজেদের মাঠে এদিন শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলে এভারটন। ম্যাচের দুই অর্ধে দুটি করে গোল করে স্বাগতিকরা। ১৩ মিনিটে ইংলিশ ফরোয়ার্ড ডমিনিক কালভার্ট-লুইনের পাস পেয়ে বাই-সাইকেল কিকে গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়াকে পরাস্ত করেন এভারটনের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন। ২৮ মিনিটে ৩০ গজ দূর থেকে শট নিয়ে বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আইসল্যান্ডের মিডফিল্ডার গিলফি সিগুর্ডসন। বিরতির পর ৫৬ মিনিটে এভারটনের পক্ষে স্কোরলাইন ৩-০ করেন লুকাস দিনিয়ে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো ভলিতে ইউনাইটেডের জাল কাঁপান এই ফরাসী ডিফেন্ডার। তার ৮ মিনিট পর ইংলিশ ফরোয়ার্ড থিও ওয়ালকট লক্ষ্যভেদ করলে নিশ্চিত হয় ম্যানইউ’র ব্যর্থতার ষোলোকলা। ১৯৮৪ সালের অক্টোবরে এভারটন ৫-০ গোলে হারিয়েছিল ম্যানইউকে। এরপর যে কোন ধরনের প্রতিযোগিতায় এটাই ম্যানইউ’র বিপক্ষে এভারটনের সবচেয়ে বড় জয়। দিনের আরেক ম্যাচে লীগের প্রথমপর্বে ক্রিস্টাল প্যালেসের মাঠে পয়েন্ট হারানোর প্রতিশোধ নিতে পারল না আর্সেনাল। উল্টো ফিরতি দেখায় ৩-২ গোলে হেরে গেছে উনাই এমেরির দল। এমিরেটস স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল আর্সেনাল। কিন্তু গোল করার মতো পজিশনে বল পেয়ে দুর্বল শট নেন মেসুত ওজিল। ১৭ মিনিটে উল্টো পিছিয়ে পড়ে তারা। হেডে গোলটি করেন বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ান বেনটেকে। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে আর ব্যর্থ হননি ওজিল। লাকাজেতের পাস পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে চিপ শটে দলকে সমতায় ফেরান জার্মান মিডফিল্ডার। স্বাগতিকদের সমতায় ফেরার স্বস্তি অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেনি। ৮ মিনিটের ব্যবধানে আরও দুটি গোল খেয়ে বসে তারা। ৬১ মিনিটে একজনকে কাটিয়ে ডান পায়ের শটে অতিথিদের ফের এগিয়ে দেন উইলফ্রেড জাহা। ৬৯তম মিনিটে কাছ থেকে হেডে ব্যবধান বাড়ান ইংলিশ মিডফিল্ডার জেমস ম্যাকার্থার। হারের শঙ্কায় পড়ে যাওয়া আর্সেনাল শেষদিকে প্রতিপক্ষের রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করে। ৭৭তম মিনিটে নিচু শটে ব্যবধান কমিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলেন পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং। শেষদিকে কয়েকটি ভাল সুযোগও পেয়েছিল আর্সেনাল। কিন্তু কাজে লাগাতে না পারায় শেষ তিন ম্যাচে দ্বিতীয় আর সবমিলিয়ে অষ্টম হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। তবে বড় দুই দলের পরাজয়ের দিনেও দুর্দান্ত খেলেছে লিভারপুল। কার্ডিফ সিটির মাঠ থেকে যে ২-০ গোলের জয় নিয়ে বাড়ি ফিরেছে তারা। তবে প্রথমার্ধে কোন দলই গোলের দেখা পায়নি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় জার্গেন ক্লপের দল। দারুণ এক গোলে সফরকারীদের প্রথম এগিয়ে দেন উইনালডুম। আর মিলনার ৮১ মিনিটে পেনাল্টিতে গোল করলে ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল। এই জয়ের ফলে ৩৫ ম্যাচ থেকে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে অবস্থান করছে সালাহ-ফিরমিনোরা। এক ম্যাচ কম খেলে সিটিজেনদের অবস্থান দুইয়ে। পয়েন্ট ৮৬। ৩৪ ম্যাচ থেকে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনাল আছে চারে। সমান সংখ্যক ম্যাচ থেকে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
×