ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে বোরো ধানের বাম্পার ফলনেও হাসি নেই কৃষকের

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২৩ এপ্রিল ২০১৯

বরিশালে বোরো ধানের বাম্পার ফলনেও হাসি নেই কৃষকের

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ দিগন্ত জোড়া পাকা বোরো ফসলের মাঠ। ফলনও হয়েছে আশাতীত কিন্তু ধানের বাজার মূল্য উৎপাদন খরচের অর্ধেক হওয়ায় মহাবিপাকে পরেছেন চাষী। মাঠজুড়ে উঠতি পাকা ধান কাল বৈশাখীর সাথে বৃষ্টির আশংকা আর ধানের মূল্য কম থাকায় ধান কাটতে শ্রমিকের অনীহায় শ্রমিক সংকটের কারনে দিশেহারা হয়ে পরেছে বরিশাল জেলার বোরো চাষিরা। আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ওই উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে নয় হাজার ছয়শ’ ছয় হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য সেচ বিঘ্ন হওয়ায় ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ কম হয়েছে। প্রতি হেক্টরে সাত দশমিক পাঁচ মেট্টিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ক্রপ কাটিং করে দেখা গেছে। এতে প্রতি হেক্টরে পাঁচ মেট্টিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে। সূত্রমতে, উফশি, হাইব্রীড জাতের ধান প্রতিমন স্থানীয় বাজারমূল্য পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচশ’ টাকা আর ব্রী-২৯ জাতের ধানের বাজার মূল্য প্রতিমন সাড়ে পাঁচশ’ থেকে ছয়শ’ টাকা। যা চাষীদের উৎপাদন খরচের অর্ধেক। ধানের বাজার মূল্য কম হওয়া, শ্রমিক সংকট ও প্রতিকূল পরিবেশের কারনসহ সবমিলিয়ে উঠতি পাকা ফসল ঘরে তুলতে না পেরে বরিশালের কৃষকরা চরম হতাশায় রয়েছেন। অন্যদিকে বর্গা ও ক্ষুদ্র চাষীরা মহাজনদের দাদনের ধান ও সুদের টাকা পরিশোধের মহাদুশ্চিন্তায় রয়েছেন। চাষীরা জানান, সরকারীভাবে বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং করে চাষীদের কাছ থেকে সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় সরাসরি ধান ও চাল ক্রয় করলে চাষীরা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পেয়ে উপকৃত হতে পারেন। ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে চাষীদের বঞ্চিত হবার সত্যতা স্বীকার করে জেলার দশ উপজেলার নির্বাহী অফিসাররা বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে। সরকার চাষীদের স্বার্থ চিন্তা করে অবশ্যই একটা ব্যবস্থা করবেন বলেও তারা আশা প্রকাশ করেছেন।
×