ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবি ইবির পাঁচ বিভাগের শিক্ষার্থীদের গণ অনশন

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২৩ এপ্রিল ২০১৯

ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবি ইবির পাঁচ বিভাগের শিক্ষার্থীদের গণ অনশন

ইবি সংবাদদাতা ॥ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত পাঁচ বিভাগের শিক্ষার্থীরা গণ আমরণ অনশন করছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এ অনশন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন। পরে শিক্ষার্থীরা ডিন অফিস ঘেরা করে তালা লাগিয়ে দেন। এসময় প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ এবং বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর ১২ নবেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের অধীনে থাকা ১১টি বিভাগকে আলাদা করে তিনটি অনুষদে (প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স অনুষদ এবং বিজ্ঞান অনুষদ) অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন বর্ষ (২০১৮-১৯) থেকে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদভূক্ত পাঁচটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রীর মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও অন্যান্য ব্যাচগুলোর এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোন প্রকার বৈষম্য ছাড়াই সব ব্যাচগুলোকে ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজির মান দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল তারা। এসব কর্মসূচীর পরও দাবি আদায় না হওয়ায় মঙ্গলবার আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন পাঁচ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ এই প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এদরে মধ্যে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে। এ বিষয়ে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি একটি চলমান প্রক্রিয়ায় আছে। আগামী ২৭ এপ্রিল ফ্যাকাল্টি মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। এরপর মিটিংয়ে পাশ হলে বিষয়টি একাডেমিক সভায় যাবে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এম শাহিনুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি যেহেতু যথাযথ প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে আসতে হবে। ফ্যাকাল্টি মিটিং হয়ে একাডেমিক সভায় আসলে আমরা বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবো।’
×